৫ জানুয়ারি বরিশালে বিএনপির কালোপতাকা মিছিল প্রতিহত করতে মারমুখী ভূমিকায় ছিল যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কয়েকশ মোটরসাইকেলে শহরজুড়ে মহড়া দিয়েছে এসব নেতাকর্মী।
তাছাড়া বিএনপির নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশের তল্লাশি ও সিনিয়র নেতাদের নিজ নিজ বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ করেছে বিএনপি। তবে এসব বাধার মধ্যেও নগরীতে কয়েকটি ঝটিকা মিছিল করেছে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
কিন্তু কয়েকটি মিছিলে হামলা চালানোরও অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। হামলায় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ছাত্রদল।
বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, তারা এই দিনটিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালনের লক্ষে সকাল ১০টায় নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্ত্বরে সমাবেশ এবং কালোপতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করলেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
অনুমতি না পেয়ে সকাল ৭টায় নগরীর পোর্ট রোডে মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুকের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর রূপাতলী শেরে-বাংলা সড়কে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়ার নেতৃত্বে ঝটিকা কালোপতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা খানম নাসরিন সাংবাদিকদের জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার নেতৃত্বে নগরীর সিএন্ডবি রোডে এলাকায় মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিলে ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত এবং মুনিমের নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল হামলা চালায়।
এতে রিজভী, সিয়াম ও আশিক নামে ৩ ছাত্রদল কর্মী আহত হন। এদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রিজভীর একটি আঙ্গুল ছিন্ন হয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানান, ছাত্রদল নেত্রী নাসরিন।
অপরদিকে বিএনপি দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে একই সময়ে পূর্ব নির্ধারিত ছাত্রসমাবেশ করে ছাত্রলীগ। সকাল ১০ টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে সদর রোডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বক্তৃতা করেন।
এদিকে সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয় যুবলীগ ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে অর্ধশত মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দেয়া হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, ৫ জানুয়ারি ঘিরে বিএনপির সকল ধরনের নৈরাজ্য প্রতিহত করতে তারা রাজপথে নেমেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আসাদুজ্জামন সাংবাদিকদের জানান, ৫ জানুয়ারি ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে নগরীতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ছাত্রলীগের হামলার বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন।’
শিরোনামOther