ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন- তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। বিষয়টি দু’দেশের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যা বলার বলেছেন। ব্যক্তিগতভাবে নতুন করে বলার কিছু নেই।
শুক্রবার (০৩ নভেম্বর) সকালে বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডের ডগলাস বোর্ডিং নিজ জন্মস্থান ও পূর্বপুরুষের বসতভিটা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।
ডগলাস বোর্ডিং পরিদর্শনকালে রেজিস্ট্রারে তার মায়ের নাম দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ১৯৪৫ সালের ৩০ আগস্ট এখানে জন্মগ্রহণ করেন বিমান বন্দোপাধ্যায়। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছিল ১৪৫০।
এরপর তিনি বিএম কলেজ সংলগ্ন তার পৈত্রিক বাড়ির সামনে এসে খুঁজে ফেরেন তার শিশুকালের স্মৃতি। বিএম কলেজের সামনে পৌঁছামাত্র কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী নন্দীতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানান।
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- স্মৃতির বিলুপ্তি নেই। যত ঘুরে যাই কেবলই স্মৃতির দেখা পাই। পৈত্রিক বাড়ি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন- এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এই অনুভূতি নিজের কাছে থাকাই ভালো। জন্মস্থান পূর্ব পুরুষের পৈত্রিক বাড়ি ঘুরে দেখার জন্যই তার বরিশাল আগমন। জন্মস্থান দেখে অভিভূত।
তিনি বলেন- একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশভাগের সময় জন্মস্থান ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিলো পুরো পরিবারকে। কলকাতায় গিয়েও একটা করুন অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন তারা। বাবা প্রাণতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঠাকুর দা সতীশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বরিশালে আইন পেশায় ছিলেন।
তখনকার বরিশাল আর এই বরিশালের পার্থক্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখনকার বরিশাল এত উন্নত ছিল না। তখন রাস্তাঘাট ছিল না। গ্রাম্য পরিবেশ ছিলো। তবে ডগলাস বোর্ডিংয়ের (যেখানে তিনি জন্মেছেন) চিকিৎসা ব্যবস্থাও উন্নত ছিল।
এরপর তিনি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাহিলাড়া মঠ, আগৈলঝাড়ার গৈলায় মনষা মঙ্গলের কবি বিজয় গুপ্তের মনষা মন্দির পরিদর্শনে যান। বিকেলে তাদের বরিশাল মহাশ্মশান ও চারণ কবি মুকুন্দ দাশ প্রতিষ্ঠিত কালিমন্দির দর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ থেকে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার ভারতে চলে যান। বরিশাল সফরকালে তার সঙ্গে স্ত্রী নন্দীতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বালাদেশস্থ ভারতীয় দূতাবাসের প্রেস ইনফরমেশন অ্যান্ড কালচার এটাচে রঞ্জন মন্ডল ছিলেন।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিপিএ কনফারেন্সে যোগ দিতে বাংলাদেশে এসেছেন তিনি।’’
শিরোনামবরিশালের খবর