এতে পানি জমার ফলে যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে ভোগান্তি। কিন্তু তবুও মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যাচ্ছে।’
এরই মধ্যে রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ভারী বৃষ্টির সাথে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। যে কারণে সন্ধ্যার পরে জনশূণ্য হয়ে পড়ে গোটা নগরী।
রোববার রাত ৯টার সর্বশেষ আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
যে কারণে পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছেন আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান।
রোববার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদী-বন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, পটুয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কি. মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে বরিশাল বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আগামী ৫ দিনে দিনের বেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বরিশালে ৭২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।”
বরিশালের খবর
