বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির তৃণমূল কর্মীসভায় দুই গ্রুপের মধ্যে তুমুল হট্টগোল, চেয়ার ছোড়াছুড়ি এবং হাতাহাতি হয়েছে। চলমান সভার মধ্যে এমন ঘটনায় চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ের বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলে শনিবার (৬ মে) সকাল ১০টায় নির্ধারিত সময় থাকলেও উত্তর জেলা বিএনপি’র তৃণমূল কর্মীসভা শুরু হয় সকাল সোয়া ১১টার দিকে। তখনও প্রধান অতিথি বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সভাস্থলে এসে পৌঁছায়নি।

দলের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান এবং জয়নুল আবেদীনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে দলের সার্বিক চিত্র তুলে ধরে বক্তব্য দিচ্ছিলেন উত্তর জেলার আওতাধীন মুলাদী পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।

তিনি তার বলেন- ২০০৮ সাল সেলিমা রহমানের পরামর্শে গঠিত উত্তর জেলা যুবদল নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তারা দলের কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেছে না। সেলিমা রহমান অনুসারীদের কমিটি বাতিল করে দলের ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীনের অনুসারীদের নিয়ে উত্তর জেলা যুবদলের নতুন কমিটি করার দাবি তোলেন তিনি।

এ সময় উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি মেজবাউদ্দিন ফরহাদ তাকে সংযত হয়ে বক্তব্য দিতে বলেন। ওই সময়য় মঞ্চে থাকা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আহম্মেদ বাবলু তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিলে শুরু হয় হট্টগোল।

এক পর্যায়ে উভয় দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা হাতাহাতি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেন। এতে সভার কার্যক্রম কিছু সময়ের জন্য বিঘিœত হয়। পরে স্থানীয় সিনিয়র নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

একই সময়ে টাউন হলের বাইরে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাতাহাতি এবং ধাক্কাধাক্কি হয়।

বেলা ১২টার দিকে প্রধান অতিথি মির্জা আব্বাস সভাস্থলে পৌঁছলে ফের সভার কার্যক্রম শুরু হয়।”