বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৭:৪২ অপরাহ্ণ, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ ও লক্ষীপাশা গ্রামে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ অক্টোবর (বুধবার) দুপুরে ভরপাশা ইউনিয়নের দুধলমৌ সিকদার বাড়ি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ৮ বছর বয়সের দুই শিক্ষার্থী মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
বাড়ি ফেরার পথে সড়কের পাশে একটি বাগানবাড়িতে আমলকি খেতে যায় ওই দুই শিক্ষার্থী। এ সময় দুধলমৌ গ্রামের মৃত্যু জয়নাল শিকদারের পুত্র সোহেল (৪০) ও লক্ষীপাশা গ্রামের মনির খানের পুত্র রাফিন খান (১৫) দুই শিশুকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের শিকার হয়ে দুই শিক্ষার্থী বাড়িতে পৌঁছালে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনার বিষয় খুলে বলে।ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, মাদ্রাসা ছুটির শেষে দুই বান্ধবী মিলে বাগানের মধ্যে আমলকি খেতে যায়।
এ সময় সোহেল ও রাফিন তাদেরকে ধরে ফেলে। ভয় দেখিয়ে বলে আমলকি কেন চুরি করেছো গাছ থেকে। গাছের মালিকের কাছে নিয়ে গেলে তোদের হাত পা কাটবে।
একপর্যায়ে ভয় দেখিয়ে আতঙ্কিত করে গায়ের কাপড় খুলে কোলের মধ্যে নিয়ে জোর করে ধরে ধর্ষণ করে। গতকাল ১৭ অক্টোবর ধর্ষক সোহেলকে এলাকাবাসী আটক করে। এ সময় সোহেলের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপর ধর্ষক রাফিন খানের পরিচয় পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, লক্ষীপাশা গ্রামের মনির খান প্রভাবশালী হওয়ায় তারা এখন পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি। এই ঘটনায় মনির খানসহ স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল মনির খানের ছেলেকে রক্ষা করতে স্থানীয় সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে ধর্ষণ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই ঘটনায় ১৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাত ২ টায় স্থানীয়রা ধর্ষক সোহেলকে গণধোলাই দিলে সোহেল পালিয়ে যায়। এরপরই ধর্ষণ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর থেকে দুই ধর্ষক পলাতক রয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা জানান, শিশু ধর্ষণ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগী পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইন অনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।