বরিশালের বাকেরগঞ্জের চরাদি ইউনিয়নে ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জায় নিজের শরীরে কোরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছে স্কুলছাত্রী সোনিয়া আক্তার (১৩)। পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সোনিয়া চরাদি ইউনিয়নের হলতা গ্রামের দুলাল খানের মেয়ে ও চরাদি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
সোনিয়ার বাবা দুলাল খান বরিশালটাইমসকে জানান, গত বুধবার সকালে প্রতিবেশী পান্নু খানের বখাটে ছেলে আসাদ খান ডিম ভেজে দেয়ার কথা বলে শিশুটিকে তার নিজের ঘরে নিয়ে যায়। এসময় আসাদের বাবা-মা কেউ বাসায় ছিল না। এ সুযোগে আসাদ সোনিয়াকে ধর্ষণ করে।
পরে নিজ ঘরে গিয়ে ওই দিন বেলা ১২টায় সে লজ্জায় নিজের শরীরে কোরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার দুপুরে তাকে ঢাকায় পাঠান চিকিৎসকরা। রোববার বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু সোনিয়ার মৃত্যু হয়।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান বরিশালটাইমসকে বলেন, শিশুটির পরিবার থেকে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’
বরিশালের খবর
