বরিশালে তাবলিগ জামায়াতে গিয়ে এক মুসুল্লী রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। নিঁখোজের ৮ দিন পরেও ওই মুসুল্লীর সন্ধান না পেয়ে উৎকণ্ঠায় ভুগছে পরিবার। বিশেষ করে মো. হুমায়ুন কবীর খলিফা নামে ওই মুসুল্লী তাবলিগ জামায়াতে যাওয়ার পূর্বে তোমরা ভাল থেকো, ‘আমি আল্লহর পথে যাচ্ছি’ এমন কিছু বানী পরিজনকে শুনিয়ে যাওয়ায় বেশিমাত্রায় আতঙ্কিত স্বজনরা।
তাছাড়া ওই তাবলিগ জামায়াতের আমীরকেও কোন কিছু না জানিয়ে নিখোঁজ হওয়া নিয়ে প্রশাসনেও ঢের তৎপরতা শুরু হয়েছে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে আপাতত এই নিখোঁজ রহস্যের কোন সঠিক জবাব আসেনি। তবে বলা হচ্ছে, বিষয়টি অতি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এমতাবস্থায় ওই মুসুল্লী নিখোঁজ রহস্য নিয়ে বরিশাল নগরীতে নানা গুজব ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। কেউ কেউ বলছেন- নগরীর দিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর খলিফা কোন জঙ্গি সংগঠনের যুক্ত হয়েছেন (!)
যে কারণে তিনি তাবলিগে যাওয়ার আগে পরিজনদের ভাল থাকার তাগিদ দিয়ে যান। যদিও এ বিষয়টি এখনই নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এক্ষেত্রে ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ কোন ধরণের মন্তব্য না করে তদন্তের ওপরেই জোর দিচ্ছে। সূত্রমতে, নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর গত ২৩ ফেব্র“য়ারি এলাকার মুসুল্লীদের সাথে মেট্রোপলিটন বিমানবন্দর থানাধীন এলাকা ঝড়ঝড়িয়া বাজার মসজিদে তাবলিগে যান।
সেখানে ৩ দিন তাবলিগ জামায়াত অবস্থান করার পর ফিরে আসলেও ওই ব্যক্তি আসেননি। সেই ঘটনায় গত ২ মার্চ নিখোঁজ ব্যক্তির ছোট ভাই মো. নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরী করেন। পাশাপাশি নিকট আত্মীয় স্বজনসহ পরিচিত জনদের বাসায় খোঁজ-খবর নেন। কিন্তু ভাইকে উদ্ধারে কোন ধরণের সফলতা আসেনি। নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাবলিগ জামায়াতে যাওয়ার পরদিনই অর্থাৎ ২৩ ফেব্রুয়ারি মুসুল্লী হুমুয়ুন কবীর খলিফা সেখান থেকে তিনি চলে যান অনেকটা গোপনে।
যে বিষয়টি আমির আবুল কালামেরও নজরে আসেনি। তবে চলে যাওয়ার দিন বিকেলে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন। যদিও সে সময় তিনি ভেবেছিলেন হুমায়ুন কবীর বাসায় চলে গেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারেননি আমীর। যদিও পুলিশ নিখোঁজ এই ব্যক্তির সন্ধান নিশ্চিত হতে ঘটনাস্থল ও তাবলিগ জামায়াতের অংশগ্রহণকারী প্রতিটি সদস্যদের নজরদারির মধ্যে রেখেছে বলে শোনা যায়।
এক্ষেত্রে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেনের অভিব্যক্তি হচ্ছে, নিখোঁজ রহস্যটি উদঘটনে পুলিশের তৎপরতা চলমান রয়েছে। কিন্তু মুসুল্লী জঙ্গিযোগের যে গুজব রটেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না। ”
শিরোনামটাইমস স্পেশাল, বরিশালের খবর