বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:৩০ অপরাহ্ণ, ০৫ আগস্ট ২০১৭
স্ত্রী জেবুন্নেছার পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্বামী ব্যবসায়ী শামীম তালুকদারকে পরকীয়া প্রেমিক বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খুন ও গুমের হুমকি দিয়েছেন। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আট বছর বয়সের শিশু পুত্রকে সাথে মিডিয়াকর্মীদের মুখোমুখি হয়েছেন স্বামী ব্যবসায়ী শামীম তালুকদার।
শনিবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে একটায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘটনায় তিনি পুলিশ প্রধান অর্থাৎ আইজিপির হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বরিশাল বিমান বন্দর থানার এসআই মাইনুল ইসলামের সাথে তার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক ধরে ফেলায় তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ২০০৭ সালে তার সাথে জেবুন্নেছা জামালের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আটবছর বয়সের পুত্র সন্তান রয়েছে। গত ৩ থেকে ৪ বছর পূর্বে উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলামের সাথে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয়। সেই সূত্র ধরে মাইনুল তার বাসায় আসা যাওয়া করতো। সে সুবাধে তার স্ত্রী জেবুন্নেছার সাথে মাইনুলের অবৈধ সর্ম্পক হয়। এনিয়ে গত ছয়মাস পূর্বে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
ফলে সন্তানকে নিয়ে স্ত্রী জেবুন্নেছা নগরীর গোরস্থান রোডস্থ খাদিজা মঞ্জিলে থাকতেন। গত ছয়মাস ধরে ওই বাসার ভাড়াও পরিশোধ করতেন এসআই মাইনুল। ব্যবসায়ী শামীম তালুকদার আরও বলেন, গত ১ আগস্ট তিনি ওই বাসায় প্রবেশ করে তার স্ত্রী ও এসআই মাইনুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে বাহির থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশকে খবর দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট বিমানবন্দর থানা থেকে এসআই মাইনুলকে পুলিশ লাইন্স্ ক্লোজড করা হয়। এর পর থেকেই এসআই মাইনুল ইসলাম তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পিতা শামীম তালুকদারের সাথে আসা শিশু পুত্র সাদমিন (৮) বলে, পুলিশ আঙ্কেল দিনে ও রাতে প্রতিদিন আমাদের বাসায় আসা যাওয়া করতেন। এমনকি রাতে বাসায় ঘুমাতেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই মাইনুল ইসলাম বলছেন, শামীমের কাছে তিনি এক লাখ টাকা পাবেন। ওইদিন টাকা আনার জন্য শামীম তার বাসায় যেতে বলে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ নাটক সাজিয়েছেন।”