বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সন্ধ্যা নদীর পয়সাহাট এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও এক সংখ্যালঘু পরিবারের সম্পত্তি জবর দখল করে বালুর ব্যবসা শুরু করেছেন স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। ভুক্তভোগী ওই সংখ্যালঘু পরিবার অবৈধ দখলদার মুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পরেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বাকাল ইউনিয়নের পয়সাহাট এলাকায় সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরী বাঁধের সরকারী জায়গা ও স্থানীয় সংখ্যালঘু হরেন্দ্র নাথ হালদারের পয়সা মৌজার ৬৫৮ নং দাগের ২৩ শতক, ৬৫৬নং দাগের ২.৫ শতশ সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে বালু ভরাট করে তাতে বালুর ব্যবসা শুরু করেন স্থানীয় প্রভাবশালী নজরুল ইসলাম শিকদার।
অবৈধভাবে জবর দখলের মাধ্যমে বালুর ব্যবসা করায় ইতোমধ্যে ইরগেশনের জন্য ইনলেটের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। পানি চলাচল বন্ধ হওয়ায় আসন্ন সেচ মৌসুমে বেরীবাঁধের অভ্যন্তরের প্রায় ১’শ একর বোরো জমিতে চাষাবাদ বন্ধ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। দখলদারের বিরুদ্ধে এরপূর্বে শতাধিক ভুক্তভোগী চাষীরা বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুফল পায়নি।
উল্টো দখলকারী ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনে ভুক্তভোগী চাষীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। ভুক্তভোগী হরেন্দ্রনাথ হালদারের পুত্র অমৃত লাল হালদার অতিসম্প্রতি দখল মুক্ত করার জন্য উপজেলা নিবাহী অফিসারের দ্বায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শতরুপা তালুকদারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলার নিবাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) শতরুপা তালুকদার বলেন, তিনি সার্ভেয়ারের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগকারীদের জায়গা ওই স্থানে নেই। তাদের জায়গা বেড়ীবাঁধের পশ্চিম পাশে। আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে।