উত্তরাঞ্চল থেকে নেমে যাওয়া পানি এখন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ওই অঞ্চলে নদনদীর পানি ক্রমে বাড়ছে। এতে করে প্লাবিত হচ্ছে বরিশাল নগরীসহ জেলার নিম্নাঞ্চল।
ফলে পান্দিবন্দি হয়েছে পড়েছে জেলার নদী-তীরবর্তী এলাকার হাজারও পরিবার। এরই মধ্যে অনেক পরিবারই ভিটেছাড়া হয়েছে।
এদিকে, পানি বাড়ায় জেলার বিভিন্ন নদীর অন্তত ৩০টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে কীর্তনখোলায় বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার সুগন্ধা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাহেরচরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। একই উপজেলার সন্ধ্যা ও আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন দেখা দিয়েছে রাফিয়াদি নদী তীরবর্তী এলাকা এবং রাকুদিয়ার আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এলাকায়।
বাকেরগঞ্জ উপজেলার কারখানা নদীতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। উপজেলার লক্ষ্মীপাশা,দুর্গাপাশা ও কবাই এলাকার শত-শত পরিবার ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে।
এ ছাড়া ভাঙন দেখা দিয়েছে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, ইলিশা, মাছকাটা ও কালাবদর নদীতে।
হিজলা, মুলাদীসহ বিভিন্ন উপজেলায় নদী-ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার বরিশাল শহরের অলিগলিতে পানি ঢুকেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. গাজী সাইফুজ্জামান জানান, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে জেলা প্রশাসন। ক্ষয়-ক্ষতির খবরাখবর নিতে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে।
এ ছাড়া কিছু এলাকায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়ন, চরমোনাই লঞ্চঘাট, চর-আবদানী, চরকাউয়া, সিংহেরকাঠী, বেলতলা ফেরিঘাট, সুন্দরবনসহ কয়েকটি ডাকইয়ার্ড, বরফকল, সিটি কর্পোরেশনের সার্ফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টসহ বিশাল এলাকা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর