বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্যের লোকজন। থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কাজীরহাটের উদয়পুর মুসলিম আকন্দ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয়ী দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) এ হামলা চালানো হয়।
এ সময় প্রকাশ্যে পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করা হয় বলে থানা আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন।
কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিললুর রহমান বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- সকাল থেকেই বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের যাতায়াত পথে হামলা চালায় হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ আসনের এমপি পঙ্কজ নাথ’র নির্দেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা-কর্মীরা।
এ সময় থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) মহসিনসহ একাধিক নেতা-কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়।
পরবর্তীতে দুপুরে স্থানীয় এমপি’র অনুসারী লতা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান নেহাল কাজীরহাট থানা পুলিশকে ব্যবহার করে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালায়।
তিনি বরিশালটাইমসের কাছে অভিযোগ করেন- হামলায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের ক্যাডার মশিউর রহমান পলাশ, রাকিব, শাহাবুদ্দিন, সোহেল রিভলবার, রামদা, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলা চালানো হলেও পুলিশ নিরব দর্শকের ভুমিকায় দাঁড়িয়ে ছিলো বলে কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি-সম্পাদক দাবি করছেন। হামলায় কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ফরমের একটি বই নিয়ে যায়।
কাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম তালুকদার বরিশালটাইমসকে জানান- বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
কাজীরহাট থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিললুর রহমান বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছেন।
এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগও দেওয়া হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে স্বেচ্ছাসেবকলীগের মশিউর রহমান পলাশ বলছেন সভা থেকে সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখা হচ্ছিল। তখন প্রতিবাদ করলে আ’লীগের নেতা-কর্মীরা তাদের ওপরে হামলা চালিয়েছেন। এই ঘটনায় তাদের পক্ষ থেকেও থানা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’’
শিরোনামবরিশালের খবর