মাহাদী হাসান, বরিশাল:: বরিশাল অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ মাঝারি আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। ২/১ দিনের মধ্যে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন ঘটলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। গত কয়েকদিনের শীতে এমনিতেই জবুথবু অবস্থা। বাড়ছে শীতজনিত রোগ। বিশেষ করে ছিন্নমুল মানুষের দুর্ভোগের অন্ত নেই। লঞ্চ ও নৌবন্দরে ছিন্নমুল মানুষের আশ্রয়স্থল পরিণত হয়েছে শীতের রাত অতিক্রমে। সেখানে চোখ দেখা যায় যে যেভাবে পারছে, গোটা শরীর কাথায় মুড়ে সারিবদ্ধভাবে শুয়ে রয়েছে। জেলা প্রশাসন ছিন্নমুলদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় ৫০০ কম্বল বিতরণ করার কথা নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়- এবার শীতের ধরণ বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। পৌষ মাস শুরুর পর যথা নিয়মে শীত শুরু হলেও আকস্মিক মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ঠান্ডার তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দিন রাত সমান্তরাল হিমেল বাতাস বয়ে চলায় শীতও অনুরুপভাবে জেঁকে বসেছে এই অঞ্চলে। সূর্যও লুকোচুরি খেলছে। কখনও মেঘাচ্ছন্ন আবার তা ভেদ করে সূর্য উকি দিলেও তাপ নেই। আবার রাত অপেক্ষা দিন ছোট হওয়ায় অন্ধকারে কুয়াশায় মানুষের জীবন যাত্রায় বিরুপ প্রভাব ফেলছে। বলা যায়- জনজীবনে এক ধরণের বিপর্যয় নেমে এসেছে। রাতের গভীরতার আগেই কর্মব্যস্ত মানুষ আবাসস্থলে দ্রুত ফিরতে অস্থির হয়ে ওঠে। ফলে মধ্য রাতেই বরিশাল নগরীরসহ আশপাশ এলাকা জনমানব শূণ্য হয়ে পড়ে। অফিস আদালতেও কাজের গতিশীলতা হারিয়ে ফেলেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর যে তথ্য দিয়েছে তাতে দুর্ভোগ লাগবো আপাতত সম্ভবনা নেই।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বরিশালটাইমসকে জানান, গত দুদিনের তাপমাত্রা ছিল অসহনীয় পর্যায়ে। এটাকে হালকা বা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন- শনিবার এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে ১০.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা ২/১ দিনের মধ্যে আরও কমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছেন। সেটা মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহের আকার ধারণ করতে পারে। কতদিন তা দীর্ঘায়িত হবে তা আবহাওয়ার বৈচিত্র্যে অনুমান করা যাচ্ছে না।
শীতের এই তীব্রতায় ছিন্নমূল মানুষের হাই-হুতাশ দেখা যায়। কোথাও কোথাও আগুন জ্বালিয়ে কিছু সময়ের জন্য নিরুপায় মানুষ উষ্ণতা খুঁজছে। জেলা প্রশাসন তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। জেলা শহরসহ উপজেলাতেও শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে।’
শিরোনামবরিশালের খবর, বিভাগের খবর