বরিশাল বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের সাথে করমর্দন না করায় ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সদস্য ও নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার মজিবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেছে তার (সরোয়ার) সহকর্মীরা। শনিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে উপস্থিত ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বিএইচ (বজলুল হক) হারুন এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বেলা দেড়টার ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার বেলা সোয়া ১টার দিকে বরিশাল বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে পৌঁছেন। সেখানে পৌঁছে উপস্থিত সবার সাথে করমর্দন করতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে ঝালকাঠি জেলা পরিষদের সদস্য ও নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার মজিবর রহমানের দিকে করমর্দনের উদ্দেশে হাত বাড়িয়ে দেন সরোয়ার।
এ সময় মজিবুর রহমান করমর্দন থেকে বিরত থাকলে সরোয়ার তাৎক্ষণিক অপ্রস্তুত হন এবং ওই লাউঞ্জে উপস্থিত আওয়ামী লীগের এমপি বিএইচ হারুন, সরকারী কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের সাথে পর্যায়ক্রমে করমর্দন করেন। পরে সরোয়ার ফের মজিবুর রহমানের পাশের সোফায় গিয়ে বসেন এবং করমর্দন না করার কারণ জানতে চান।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হলে সরোয়ারকে বিমান বন্দরে এগিয়ে দিতে যাওয়া বিএনপির নেতাকর্মীরা মজিবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেন। পরে সেখানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের এমপি বিএইচ হারুনসহ পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এরপর যথারীতি সরোয়ার এবং মজিবুর রহমানসহ পূর্ব নির্ধারিত যাত্রীরা বেলা দেড়টার ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা করেন। সরোয়ারকে বিমানবন্দরে এগিয়ে দিতে যাওয়া বরিশাল মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন শিকদার জিয়া বলেন- চেনা-অচেনা নিয়ে বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।
কিন্তু পরক্ষণে সমস্যা মিটে যায়। এটা তেমন কিছু না। ঝালকাঠি জেলা পরিষদ সদস্য মজিবুর রহমানকে বিএনপির কোন নেতাকর্মী লাঞ্ছিত করেনি বলে দাবি করেন জিয়া। ঝালকাঠি জেলা পরিষদ সদস্য মজিবর রহমানের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে ঝালকাঠির-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি বিএইচ হারুনের ব্যক্তিগত সহকারী মজিবুল হক কামাল বলেন- সালাম বিনিময় নিয়ে তাদের মধ্যে একটু তর্ক হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
নগরীর বিমানবন্দর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার সময় তিনি বা পুলিশের সিনিয়র কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। খবর পেয়ে তারা সেখানে যাওয়ার আগেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাদ দিয়ে ওসি আনোয়ার বলেন- করমর্দন করা নিয়ে বিএনপি নেতা মজিবর রহমান সরোয়ারের সাথে ঝালকাঠি জেলা পরিষদ সদস্য খন্দকার মজিবুর রহমানের বাদানুবাদ হয়েছে। তবে এর বেশি তিনি কিছু জানেন না।’’
শিরোনামবরিশালের খবর