বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাঁড়িয়াল ইউনিয়নে ব্রিজ ভেঙে মালবাহী ট্রাক খালে পড়েছে। ব্রিজটির নিচে একটি মোটরসাইকেল ও ট্রলার চাপা পড়েছে। এতে ট্রাক চালকসহ অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সিদ্দিক বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক মেম্বার আশরাফ আলী গাজী জানান- মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সিমেন্ট ও বালুবোঝাই একটি মিনি ট্রাক ব্রীজটির মাঝ বরাবর পর্যন্ত গেলে ব্রীজটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। এসময় ট্রাকের পেছনে থাকা একটি মোটরসাইকেল ব্রীজের নিচে চাপা পড়ে।
তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান মোটরসাইকেল চালক হেমায়েত উদ্দিন খান ও তার ছোট ভাই হেলাল উদ্দিন এবং ট্রাক চালক মোহাম্মদ হোসেন। তবে তারা তিনজনই কমবেশি আহত হয়েছেন।
স্থানীয় দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জানান- চন্দ্রমোহন টু মাতুব্বরহাট নতুন সড়ক নির্মাণ কাজ চলছে গত কয়েক দিন ধরে। কাজটি বাস্তবায়ন করছে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ওই কাজের জন্য চরকাউয়া থেকে সিমেন্ট ও বালু বোঝাই করে ট্রাকটি কাজলাকাঠি এলাকায় যাচ্ছিলো।
ব্রিজটি এমনিতেই ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ। ট্রাকটি ব্রিজের মাঝ বরাবর এল এটি পুরো ভেঙে পড়ে।
সিদ্দিক বাজার ব্রিজটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এ পথে কম সময়ে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, বাউফল, দশমিনা, ধুলিয়া, কালাইয়া, কালিশুরী, দুর্গাপাশা, শিয়ালগুনী, ফরিদপুর, বিশারীকাঠী, কেশবপুর, শর্শী, মাতুব্বরহাট, কামারখালী এলাকায় যাতায়াত করা যায়।
ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বালিয়ারহাট থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস চরকাউয়ার উদ্দেশ্যে আসতেছিলো। ওই বাসটি ব্রিজে ওঠার কয়েক সেকেন্ড আগেই ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। বাসটি ব্রিজে উঠলে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটতো বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
বাকেরগঞ্জের শর্শী তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল খায়ের জানান, ব্রিজটি আগে থেকেই নড়বড়ে ছিলো। নতুন করে দরপত্র আহবান করা হয়েছে।
নতুন করে কাজ শুরুর আগেই ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে।
তিনি জানান, ট্রাকে অতিরিক্ত মামালামাল বহন করায় ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৩ সালে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করে এলজিইডি। ঠিকাদার ছিলেন ঝালকাঠীর বর্তমান পৌর মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম তালুকদার।
এলাকাবাসী জানান- একই সড়কের চন্দ্রমোহন সাধুর বটতলা ব্রিজটিও যেকোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। কয়েক বছর ধরেই ব্রিজটিতে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত সংষ্কার কিংবা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।”
শিরোনামবরিশালের খবর