বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ, ২০ এপ্রিল ২০১৭
গায়ে পুলিশের পোশাক পরে উপ-পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নেয়ার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তাকে ৪ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৯ এপ্রিল) বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অমিত কুমার দে অভিযুক্ত ভুয়া উপ-পরিদর্শককের (এসআই) বিরুদ্ধে এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সমীরণ মন্ডল আসামীর বিরুদ্ধে ওই আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন।
আসামি হলেন- রাজবাড়ী জেলা গোলান্দা বাজার জামতলা এলাকার মৃত সামাদ মোল্লার পুত্র মো. রাজু মোল্লা ওরফে সোহেল।
এজাহার সূত্রে জানা যায়- বরিশালের গোড়াচাঁদ দাস রোড এলাকার রোকেয়া ভিলার মো. ইব্রাহিম খানের বড় ছেলে মো. ইফতিজা হাসানের সাথে ১ মাস আগে ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তা মো. রাজু মোল্লা ওরফে হোসেলের সাথে ঢাকার লঞ্চে বসে পরিচয় হয়। সে সময় রাজু মোল্লার গায়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার পোশাক পরিহিত ছিল।
তিনি তখন ইফতিজা হাসানকে জানান তার বাড়ি খুলনাতে। তিনি বরিশাল আদালতে সাক্ষীর জন্য এসেছেন। পরে আসামি রাজু মোল্লা চালাকি করে ইফতিজা হাসানের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের নাম্বার নেন। এবং বিভিন্ন সময় কল করে ফলে তাদের দুই জনের মধ্যে ঘনিষ্টতা বেড়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ মার্চ আসামি মো. রাজু মোল্লা ওরফে সোহেল তার মোবাইল ফোন দিয়ে মো. ইফতিজা হাসানকে কল করে পরে তার বাসায় রাজু মোল্লা।
সেই রাতে ইফতিজা হাসানের বাসায় থাকে পরের দিন ইফতিজা হাসানের ছোট ভাই মো. ইমরান হাসান খান তার পিতার মোটরসাইকেল পালসার যার মূল্য ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তিনি ওই মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে বের হলে আসামি রাজু মোল্লাকে বলেন আমি বান্দ রোডস্থ শিশু পার্কের সামনে যাব আমাকে একটু পৌছে দিবেন।
ওই সময় ইমরান হাসান খান তাকে শিশু পার্কের সামনে পৌছে দিলে ভুয়া এসআই রাজু মোল্লা জানান যে তার পুলিশ লাইনে ৫ মিনিটের জন্য একটা কাজ আছে। তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যাবে এই কথা বলে মো. ইমরান হাসান খানের কাছ থেকে তার পিতার মোটরসাইকেলটি নিয়ে যান। কিন্তু পরে আসামি রাজু মোল্লা আর ফিরে না আসলে গত ২ এপ্রিল মো. ইমরান হাসান খান বাদী হয়ে ওই ভুয়া পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রাজু মোল্লা ওরফে সোহেলকে আসামি করে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।”