বরিশালটাইমস, ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:০৮ অপরাহ্ণ, ০৩ অক্টোবর ২০২৩
বরিশালে মাকে হত্যার পর টয়লেটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখে ছেলে ও পুত্রবধূ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালের গৌরনদীতে মাকে হত্যার পরে আত্মহত্যা বলে প্রচারণার অভিযোগে ছেলে ও দুই পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হতভাগা মায়ের নাম হেরোনা বেগম (৬৩)। ঘটনাটি ঘটেছে গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের চরদিয়াসুর গ্রামে হায়দার আলীর বাড়িতে।
সোমবার (২ অক্টোবর) রাতে সীল পাটার পুতো দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের ভাই মনির হোসেন সিকদার বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, হায়দার আলী প্যাদা ও হেরোনা বেগম বৃদ্ধ হওয়ায় তার ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে কলহ লেগই থাকতো। মামলার বাদি নিহতের ভাই মনির হোসেন সিকদার অভিযোগ করেন, প্রায়ই তার বোনের সঙ্গে ছোট ভাগ্নে সুমন প্যাদা ও অপর ভাগ্নে বৌ রাখি বেগম, তুলি বেগম প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতো।
গত ৫ দিন পূর্বে তারা হেরোনা বেগমকে মারধর করে। এ নিয়ে মনির সিকদার ওই বাড়িতে গিয়ে মীমাংসা করে আসেন। সোমবার ভাগ্নিরা তার মাকে দেখতে আসলে এ নিয়ে তার বোনের সঙ্গে ঝগড়া ও গালমন্ধ করে পুত্রবধূরা। এক পর্যায়ে তার ভাগ্নিরা রাগ করে ওই বাড়ি থেকে চলে যায়।
এ নিয়ে সোমবার রাতে বাকবিতান্ডার এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধা হেরোনা বেগমের মাথায় সীল পাটার পুতো দিয়ে মাথায় আঘাত করে। মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হেরোনা বেগম মারা যায়। হত্যা মামলা থেকে বাচার জন্য বাড়ির পাশে টয়লেটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হাটু ভাজ করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
মঙ্গলবার সকালে আত্মহত্যা কথা বলে ছেলে সুমন প্যাদা গৌরনদী মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি সময় সন্দেহ হয়। পুলিশ ছেলে সুমন প্যাদা, পুত্রবধূ তুলি বেগম, রাখি বেগম ও স্বামী হায়দার আলী প্যাদাকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। গৌরনদী সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন আক্তার রাখি বলেন, আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।