বরিশালে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় হামলা, পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল নগরীতে মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ায় স্থানীয়দের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় মাদক প্রতিরোধে বিক্ষোভ করে পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও করে স্থানীয়রা।
শনিবার বিকেলে বরিশাল নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের খালেদাবাদ কলোনী ও আলেকান্দা কাজীপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা পারভেজ আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গোলাম শেখের মেয়ে সাথী, আনু, জামাতা (আনুর স্বামী) রফিক, ছেলে আরমান শেখসহ বেশ কয়েকজন মাদক কারবার করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে বরিশালের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এক সময়ের কসাই রফিক এখন মাদক বাণিজ্য করে বরিশাল শহরে গড়েছেন বাড়ি। এছাড়া রাজবাড়ি জেলায় তার রয়েছে কোটি টাকার জমি। স্থানীয়দের অভিযোগ, যারা মাদক কারবারিদের কথা শুনছে না কিংবা মাদক কারবারে সহযোগিতা করছে না তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। নুর আলম নামে স্থানীয় একজন বলেন, শনিবার দুপুরে আরমান শেখ ও তার স্বজনরা একটি ছেলেকে মারধর করছিলো।
এসময় আমার ছেলে রাতুল তাদের কাছে ওই ছেলেটিকে মারধরের কারণ জানতে চান। এসময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে রাতুলকে প্রথমে মারধর করে পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
আহত রাতুল জানান, ওই ছেলেটিকে আরমান শেখ ও তার পরিবারের স্বজনরা পুলিশের সোর্স মনে করেছিলো। তাই তারা ছেলেটিকে ধরে মারধর করে। মারধর করতে মানা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা করে।
এদিকে অভিযুক্ত আরমানের বাবা গোলাম শেখ জানান, আমার মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় একটি ছেলের ঝামেলা হয়েছে। যেটি মীমাংসা না করে কিছু লোকজন ঘটনাটিকে উস্কে দেয়। পরে কিছু যুবক আরমান শেখকে মারধর করে।
আমাদের দোকান ভাংচুর করে। এসময় দোকানে থাকা নগদ টাকা ও মালামাল লুট করা হয়। অপরদিকে এ ঘটনায় স্থানীয়রা বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হলে মাদক কারবারি আরমানসহ তাদের স্বজনরা পুলিশের ভয় দেখায় বলে জানা যায়।
এ ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকশ নারী-পুরুষ মিছিল নিয়ে বিচারের দাবিতে নগরীর আমতলার মোড়স্থ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে যায়।
পরে কার্যালয় ঘেরাও করে তারা বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ কমিশনারের আশ্বাসে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে স্থানীয়রা। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলতে তাৎক্ষণিক কার্যালয়ে যাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ তাদের এলাকায় বেশ কয়েকজন মাদক কারবার করছে। আর সে কাজে সহায়তা করার জন্য স্থানীয়দেরও চাপ দেওয়া হয়। আর মাদক কারবারের প্রতিবাদ করলে হয়রানির শিকার হতে হয়।
অভিযোগগুলো জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি খোঁজ নিয়েছি। কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেছি।মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শিরোনামবরিশালের খবর