বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:১৮ অপরাহ্ণ, ১১ জুলাই ২০১৭
বরিশাল জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্তার প্রমাণ মেলায় তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার (০৮ জুলাই) সেখান থেকে তাকে সরিয়ে বরিশাল আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) সংযুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে বরিশাল জেলা পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেছে।
‘পুলিশ কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সঙ্গে মাদক বিক্রেতার গভীর ফোনালাপের তথ্য ফাঁস” শিরোনামে গত ৪ জুন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই খবরের পরে বরিশাল বিভাগীয় পুলিশে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। বিশেষ করে এই বিষয়টি সহজে মেনে নিতে পারছিলেন না অনেকটা স্বচ্ছ মনের মানুষ বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি শেখ মো. মারফ হাসান।
যে কারণে তার নির্দেশনার আলোকে বিভাগীয় পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গোপনে বিষয়টি তদন্ত করেন। ওই তদন্তে এএসপি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ হেড কোয়াটার।
বরিশাল জেলা পুলিশ নির্ভরযোগ্য জানায়- তদন্তকারী টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত ডিআইজি পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট-১ হাবিবুর রহমানের গত ৮ জুলাই স্বাক্ষরিত এক আদেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিমকে বরিশাল ১০ম এপিবিএন -এ বদলি আদেশ দেওয়া হয়। ওই আদেশের পরপরই তিনি নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার এমএম আক্তারুজ্জামান ওই পুলিশ কর্মকর্তার বদলীর বিষয়টি মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
গৌরনদী পুলিশের একটি সূত্র জানায়- প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ওই থানাধীন এলাকায় মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। যার অংশ হিসেবে অভিযানে গত দুই মাসে চার শতাধিক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতারে সফলতা পায় পুলিশ।
কিন্তু আতঙ্কে গ্রেফতার আত্মগোপনে থাকা রাসেল প্যাদা নামে এক মাদক ব্যবসায়িকে ধরতে গেলে ঘটে বিপত্তি। অভিযান পরিচালনাকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে ফোন করে ওই মাদক বিক্রেতাকে হয়রানি না করতে নির্দেশ দেন।
সেই নির্দেশের বিষয়টি রেকডিং করে তা আবার মাদক ব্যবসায়ি রাসেলকেও শোনান এএসপি রেজাউল করিম।
মাদক ব্যবসায়ি রাসেল সেই রেকডিং নিয়ে তার সহযোগীদের ভেতরে ছড়িয়ে দেন। ফলশ্রুতিতে বিষয়টি অনেকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।”