বরিশালে বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে দিনদুপুরে হত্যার ঘটনায় এক মাদ্রাসাছাত্রকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ১০ বছর আগের ওই হত্যাকাণ্ডের মামলায় বুধবার এই রায় দেন বরিশালের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রকিবুল ইসলাম।
২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আসামি মাহমুদ হাসান হাফিজকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। তবে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাফিজ পলাতক রয়েছেন। তিনি ঝালকাঠির গুয়াটন এলাকার মাওলানা আব্দুস সোবাহানের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি বরিশাল নগরীর কাশীপুরে দীঘিরপারের এতিমখানা ও হাফেজীয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য ৫ আসামি সোলেমান, নাজমুল, মাইদুল, সহিদুল ও জাহিদুলকে আদালত বেকসুর খালাস দেন। রায়ের সময় সোলায়মান, নাজমুল ও মাইদুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন দিলু এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট শেখ টিপু সুলতান এমপি ও মজিবুর রহমান সবুজ আইনী।
মামলার নথির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওই মাদ্রাসার পাশের বাসিন্দা হানিফ হাওলাদারের দুই মেয়েকে উত্যক্ত করতো ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত হাফিজ ও তার সঙ্গীরা। ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে হানিফ হাওলাদার তার ছেলে আল-আমিনকে নিয়ে মাদ্রাসায় যান। এসময় হাফিজ ও তার সঙ্গীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আল আমিনকে ধরে গলা কেটে হত্যা করে।
এই ঘটনায় নিহত আল আমিনের মা আকলিমা বেগম হাফিজসহ তার ছয় সহপাঠীকে অভিযুক্ত করে ওই দিনই কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের ছয় মাস পর কোতোয়ালি থানার এসআই মোশারফ হোসেন আসামিদের ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বরিশালের খবর