বরিশাল নগরীর রূপাতলীতে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মেডিমেট উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মেয়াদোত্তীর্ণ এমোক্সাসিলিন গ্র“পের সিরাপ ও ক্যাপসুল প্রস্তত করায় জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এই অভিযান সমাপ্তির পর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
এসময় জব্দ করা ৮২ হাজার হাইকোনসিল ক্যাপসুল ও ৩৪৬৫ বোতল সিরাপ ধ্বংস করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। র্যাব এই অভিযান পরিচালনা করে।
ড্রাগ সুপারভাইজার তানভির আহমেদ বলেন দুপুর থেকে র্যাব এখানে অভিযান পরিচালনা করে এমোক্সাসিলিন গ্র“পের ৩৪৬৫ বোতল হাইকোনসিল সিরাপ ও ৮২ হাজার ক্যাপসুল জব্দ করে। এই ওষুধগুলো উৎপাদনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলেও মেডিমেট কোম্পানি চাতুরতার আশ্রয় নিয়ে বোতলের গায়ে উৎপাদন তারিখ জুন’২০১৬ লিখে রেখেছে।”
যার মেয়াদ রাখা হয়েছে জুন ২০১৯ সাল পর্যন্ত।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন- আজ উৎপাদনকরা সিরাপের তারিখ আগ পিছ করার কোন নিয়ম ড্রাগ আইনে নেই। এটা তারা সম্পূর্ণ রূপে ভঙ্গ করে অবেধ উপায়ে তৈরী করেছেন।
ওষুধ প্রস্তুতকালী প্রতিষ্ঠান মেডিমেটের প্লান্ট ম্যানেজার আবু মঈন আহমেদ চৌধুরী বলেন- তারা ভুল স্বীকার করেছেন। এই উৎপাদন সঠিক হয়নি।
তবে কোম্পানির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মীর সানাউল হক বলেন- উচ্চ আদালতের রায়ের বিপরীতে তারা আপীল করেছেন এর ফল রবিবার জানা যাবে।
শ্রমিকরা বলেছেন- সিরাপ উৎপাদন করা হয়েছে। তাহলে সিরাপের গায়ে কেন উৎপাদন তারিখ ২০১৬ সালের জুন মাস লেখা হয়েছে এনিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন- শ্রমিকরা বিষয়টি জানে না। তাছাড়া এটা হতে পারে, উপাদান আগে আনাছিল তাই ওই সময়ের তারিখ লেখা হয়েছে।”
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাজমুল হোসেন খান বলেন, এটা সম্পূর্ন বেআইনী। তাই জব্দ করা ওষুধ ধ্বংস করার পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ওষুধ প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান মেডিমেটকে।’’
তিনি আরও বলেন- উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মেডিমেট মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ তৈরী করে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সামিল।”
শিরোনামবরিশালের খবর