পুরনো ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই আবারোও কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা যুবলীগ নেতা ও সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সলিল গুহ পিন্টুকে (৩৮)। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বিল্বগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় পিন্টু গুহকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পিন্টু গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহর কনিষ্ট পুত্র ও মহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর ছোট ভাই।
মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু জানান, তার ছোট ভাই সলিল গুহ পিন্টু বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তাদের বসত ঘরের পাশে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে পিছনের দরজা খুলে বাইরে বের হয়। বের হওয়ার সাথে সাথে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত ভাবে পিন্টুকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে পালিয়ে যায়। এ সময় তার বৃদ্ধ চাচা হরি গুহ ঘর থেকে বের হলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। হামলার সময় পিন্টু গুহ কয়েক জন দুর্বৃত্তকে চিনে ফেলেছে বলে স্বজনরা জানায়। পিন্টু গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় কারো নাম উল্লেখ করতে পারেন নাই।
সূত্রমতে, স্থানীয় কতিপয় ছাত্রলীগের নেতাকমী গত ১৬ আগষ্ট গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে চা পানরত অবস্থায় পিন্টুকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম করে। সেই ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো তার উপর হামলা করা হয়। পিকলু আরো বলেন, ঘটনার দিনরাতে আমার বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহ ঢাকায় অবস্থান করছিল ও আমি আমার স্ত্রীর পরিচর্যার জন্য বরিশাল ক্লিনিকে অবস্থান করছিলাম। আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার ছোট ভাই পিন্টুকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুবৃত্তরা উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চেয়ারম্যান জানান।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন বলেন, খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।