যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম চরাদী এলাকার আব্দুল রশিদ হাওলাদারের কণ্যা ওই গৃহবধু সাকুরা আক্তার।
আদালতের বিচারক মো. এনায়েত উল¬াহ মামলাটি আমলে নিয়ে অভিযুক্তকে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে স্বশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার আদেশ দেন। অভিযুক্তরা হলেন, বরিশালের বন্দর থানাধীন চর করমজী এলাকার আব্দুল মান্না খন্দকারের পুত্র ঢাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল বাদী সাকুরা আক্তারের সাথে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আজাদ খন্দকারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আজাদ তার স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ টাকার যৌতুক চেয়ে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো।
পরে স্ত্রী সাকুরা আক্তারের পিতা আব্দুর রশিদ হাওলাদার তার জামাতা পুলিশ সদস্য আজাদ খন্দকার কে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়। কিছু দিন যাবার পর আজাদ আবার তার স্ত্রীর কাছে পুনরায় ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে আসতেছিল। তারই ধারাবাহিকাতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর আজাদ তার স্ত্রীকে মারধর করে যৌতুক আনার জন্য তার পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে আজাদ গত ২০ সেপ্টেম্বর তার শশুর বাড়ি গিয়ে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে মারধর করে এবং বলে সে তাকে ৩ লাখ টাকা যৌতুক না দিলে তার সাথে আর ঘর সংসার করবেনা তালাক দিয়ে দিবে। এ ঘটনায় গতকাল ভুক্তভোগী সাকুরা বেগম বাদী হয়ে তার স্বামী পুলিশ সদস্যকে অভিযুক্ত করে আদালতে যৌতুক আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর