নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল :: বরিশাল জেলা প্রশাসকের অনুরোধ উপেক্ষা করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সাপ্তাহিক কিস্তি আদায় করছে আশা এনজিও কর্মীরা।
নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডেই তাদের এ কার্যক্রম চলছে বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানা যায়, বরিশাল জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান গতকাল Dc barishal নাম একটি ফেইচবুক আইডিতে একটি পোষ্টে জানান, মহামারি করোনায় দেশে বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বিভিন্ন বে-সরকারী এনজিও গুলোকে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে কিস্তি না আদায়ের অনুরোধ জানান। কিন্তু সেই অনুরোধকে উপেক্ষা করে কিস্তি আদায়ে মেতে উঠেছে আশা এনজিও সহ বিভিন্ন সংস্থা।
এদিকে সাংবাদিকদের বলা হয়েছে, বে-সরকারী সংস্থা থেকে নেয়া ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি আদায় তিন মাসের জন্য শিথিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। এর ফলে আগামী জুন পর্যন্ত ঋণ গ্রহীতাদের কিস্তি পরিশোধের ব্যর্থতা খেলাপি বা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
অপরদিকে স্থানীয় শুক্কর হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি বরিশালটাইমসকে জানান, রিক্সা চালিয়ে এখন দুইবেলা ভাত খাইতেই কষ্ট হইতেছে আশা এনজিওর কিস্তি দেবো কীভাবে। রাস্তায় কোন যাত্রী নাই। সারাদিনে ১০০ টাকা আয় করতে কষ্ট হয়। তারপর আবার কিস্তির জন্য এনজিও লোক বাসায় বসে রয়েছে।
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) গত সোমবার সংস্থাটি এ বিষয়ে একটি নোটিশ জারি করেছে। নোটিশে বলা হয়, ‘বর্তমানে করোনাভাইরাসজনিত কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ডও বাধাগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি বিধিমালা, ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে গত ১ জানুয়ারি ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। সংস্থাটির নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধের বিষয়টি রিল্যাক্স করে সার্কুলার দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে প্রয়োজনে এই সুবিধা আরও বাড়ানো হবে। এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি এনজিও সারা দেশে প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এবিষয় জেলা প্রশাসকের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন অসহায় নগরবাসী।
বরিশালের খবর, বিভাগের খবর