বরিশাল সদর উপজেলার চড়বাড়িয়া ইউনিয়নে মোক্তার বেপারী (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার স্ত্রী। বুধবার ভোর রাতে ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এই ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী মনিরা বেগম ও তার দুই সন্তানকে গ্রেপ্তার করেছে।
পেশায় রাজমিস্ত্রি মোক্তার বেপারী কাউনিয়া থানাধীন বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের বোর্ডস্কুল এলাকার অফেজ উদ্দিন বেপারীর ছেলে।
নিহতের স্বজনেরা বরিশালটাইমসকে জানান, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে মোক্তারের সাথে স্ত্রী মুনিরা খাতুনের পারিবারিক কলহে লেগে ছিল। সাম্প্রতিকালে মোক্তার প্রায় ৩ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা তার স্ত্রী জোর করে নিলে তা নিয়ে বিরোধ হয়।
সকালে বাড়িতে চিৎকারের শব্দ শুনে সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মোক্তারকে দেখতে পাওয়া যায়।
স্থানীয় চরবাড়ীয়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর জাহিদুল আলম তুহিন বরিশালটাইমসকে জানান, সকালে মোক্তারের স্ত্রী মনিরা তাকে ফোন দিয়ে বলেন তিনি তার স্বামীকে কুপিয়েছেন একটু বাড়িতে যেতে। তিনি বাড়িতে গিয়ে আহত অবস্থায় মোক্তারকে দেখতে পান।
পরে তাকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে সেখানে চিকিৎস্বাধীন অবস্থায় মোক্তার মারা যান।
মেম্বর জাহিদুল আলম তুহিন আরও জানিয়েছেন- মোক্তার ও তার স্ত্রী সঙ্গে পারিবারিক কলহ দীর্ঘ দিনের। এনিয়ে চার বার সালিশ করেছেন তিনি।
শেবাচিমের সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. ইকতিয়ার আহসান জানিয়েছেন- গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অতিরিক্ত রক্তক্ষণ ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোক্তারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।’
সংশ্লিষ্ট বরিশাল মেট্রোপলিটন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে মোক্তারের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে মিলে তাকে খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ওই তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ছেলে মেয়েদের বাঁচানোর জন্য মা মনিরা একাই হত্যা করেছে বলে দাবি করছেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি পাশাপাশি মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
শিরোনামবরিশালের খবর