বরিশালে ১০ বছরের শিশুকে বলৎকার: বৈঠকে জনপ্রতিনিধির সমঝোতার চেষ্টা ব্যর্থ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশালের হিজলা উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে পড়শী যুবকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০ বছর বয়সি ওই শিশুকে প্রতিবেশী মৃত নান্নু হাওলাদরের ছেলে নুরনবী পাটখেতে নিয়ে বলৎকার করেছে। গত মঙ্গলবারের এই ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় এক জনপ্রতিনি সালিশ বৈঠক ডেকে সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে বিষয়টি এখন পুরো গ্রামে চাউর হয়ে গেছে।
স্কুলছাত্রের মা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, তার ১০ বছরের ছেলে গত মঙ্গলবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী নদীতে গোসল করতে যায়। ওই সময় নদীর কাছাকাছি একটি পাটখেতে তাকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় মৃত নান্নু হাওলাদরের ছেলে প্রতিবেশী যুবক নুরনবী। এবং সেখানে তার সন্তানকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলৎকার করে। বাসায় ফিরে তার কাছে বিষয়টি ছেলে অবহিত করলে তিনি সাথে সাথে এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য রাকিব সিকদারের কাছে অভিযোগ করেন।
সূত্রে জানা যায়- সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জনপ্রতিনিধি রাকিব সিকদার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি হানিফ প্যাদাকে নিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টির সুরহা করতে সালিশ বৈঠকে বসেন। এবং ঘটনার সমঝোতার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাধান না হওয়ায় ওই জনপ্রতিনিধি বিষয়টি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনকে অবহিত করেন। এবং এনিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান পরবর্তীতে বসবেন বলে স্কুলছাত্রের পরিবারকে আশ্বাস দেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুলছাত্রের পরিবার একধরনের ভয়ের মধ্যে রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ হওয়ায় এবং শিশুটির পিতা কর্মস্থল ঢাকায় থাকা কারণে ভয় আরও বেড়েছে বলে জানান স্কুলছাত্রের মা।
তবে এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক জল ঘোলা হওয়ায় বিষয়টি তাদের সম্প্রদায়ের নেতাদের নজরে এসেছে। হিজলা উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আশোক কুমার চ্যাটার্জী এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
কিন্তু স্কুলছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনাটি থানা পুলিশকে অবহিত করেনি। জানা গেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে তারা থানা পুলিশ করার চেয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার করতে বেশিমাত্রায় আগ্রহী।
এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই ধরনের ঘটনা কেউ এখন পর্যন্ত অবহিত করেনি। তবে অভিযোগ করলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বরিশালের খবর, বিভাগের খবর