বরিশাল: বরিশাল নগরীতে জুয়া খেলারত অবস্থায় ১১ জুয়াড়িকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১০টার দিকে তাদের নগরীর কাটপট্টি এলাকার একটি ক্লাব থেকে আটক করা হয়। কিন্তু আটকদের রাতে থানা হাজতে রেখে তথ্য নিয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে লুকোচুরি করার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এমনকি আটকদের সংখ্যা প্রকাশেও থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আসাদুজ্জামান গড়িমসি করেছে।’ বিশেষ করে এই ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে ১১জনকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করেছে। অথচ রাত ১টার দিকে এসআই আসাদ জানিয়েছেন মাত্র ৮জনকে আটক করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযানে টাকা উদ্ধারের বিষয়েও কোন তথ্য প্রকাশ করেননি। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে- পুলিশ রাত ১০টার পর ক্লাবটিতে হানা দিয়ে নগদ টাকাসহ ১২ জুয়াড়িকে আটক করে। পরবর্তীতে তাদের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যান।
সংবাদটি মিডিয়াপাড়ায় ছড়িয়ে পড়লে তথ্য সংগ্রহে দৌঁড়ঝাপ শুরু করে সংবাদকর্মীরা। এক্ষেত্রে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- এসআই আসাদ সংবাদকর্মীদের তথ্য ও জুয়াড়িদের ছবি দেই বলে থানা থেকে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বরং অপর একজনকে দিয়ে ফোন রিসিভ করিয়ে বলেন স্যার মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে। কিন্তু থানা পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে- ১১জনকেই আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- মো. শাহ আলম (৬০), মো. বাবুল (৩৯), মো. খোকন বেপারী (৩৯), মো. জহিরুল ইসলাম (৩৮), মতিউর রহমান তমাল (৩৫), মহিউল ইসলাম (৪৮), জয়নাল (৪৫) সেরাজুল হক (৫০), সন্তোষ সাহা (৪৮), আব্দুল জলিল (৫৭)। বাকি একজনের নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’ অপর একটি সূত্র জানিয়েছে- আটকের খবর পেয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে ব্যাপক তদ্বির চালায় ক্ষমতাসীন দলীয় নেতাকর্মীরা। এমনকি তাদের সাথে অর্থের রফাদফাও হয়। যে কারণে এসআই আসাদ রাতভর নাটকীয়তা চালান।’
ওই সূত্র জানায়- রাতে ক্লাবটি জুয়ার আসর বসে এমন সংবাদ পেয়ে কোতয়ালি পুলিশের একটি দল সেখানে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। সেই অভিযান পরিচালনা করে এসআই আসাদ ও শহীদুল আলম।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর