বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০২:০৪ অপরাহ্ণ, ০৭ এপ্রিল ২০১৬
বরিশাল: দেশের দক্ষিণাঞ্চল তথা বরিশালের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পিরোজপুর এবং ঝালকাঠি জেলাকে সংযুক্ত করে ১ হাজার ৪৮০ মিটার দৈর্ঘের একটি সেতু নির্মাণ করা হবে। এ সেতু নির্মাণে ৩শ’ মিলিয়ন চীনা ইউয়ান অনুদান দিচ্ছে দেশটি।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা। চীনা অনুদানে এটি হবে বাংলাদেশে নির্মিত অষ্টম সেতু।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) সকালে শের-ই বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে ‘অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়া এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইআরডি’ অতিরিক্ত সচিব আসিফ-উজ-জামান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা এবং চীনা প্রতিনিধিরা।
বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুটি বরিশাল-ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর-বাগেরহাট সংযোগ সড়কের খুলনায় চরখালী ফেরিঘাট থেকে কাঁচা নদীর ওপর নির্মিত হবে। সেতুটি নির্মিত হলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে ব্যাপক উন্নতি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সেতুটি বরিশাল বিভাগের সঙ্গে পিরোজপুর, বরগুনা, খুলনা অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ সহজ করবে। এছাড়া মংলা ও পায়রা বন্দরের সঙ্গে বরিশালের যোগাযোগ বাড়াতেও সহায়ক হবে।
বর্তমানে নদীপথে বরিশাল থেকে খুলনায় যাতায়াতে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। সেতুটি নির্মিত হলে এ সময় অনেকখানি কমে আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল মেয়াদে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সেতুটি নির্মাণ করবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৪০০ কোটি টাকাই আসছে চীন থেকে।
চীনা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং চুক্তি স্বাক্ষর শেষে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রয়োজনের কথা উপলব্ধি করেই আমরা এগিয়ে এসেছি। সেই সঙ্গে এ সেতু নির্মাণে দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কও দৃঢ় হবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরে আমরা সত্যিই গর্বিত। চীন সরকারের অনুদানে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত সাতটি সেতু নির্মিত হয়েছে।
সর্বশেষ মাদারীপুর জেলায় আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর সংযোগকারী সড়কে ‘কাজীরটেক সেতু’ নির্মিত হয়েছে। যা ইতোমধেই জনসাধাণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।’