৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

বরিশাল আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলরপুত্র ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২৭ অপরাহ্ণ, ০৫ নভেম্বর ২০১৯

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:: বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিচুর রহমান শরীফের ছেলে শহিদুল ইসলামকে (৪০) ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম। এসময় তার সহযোগী সাব্বির হোসেন হারিছ (৩৫) নামে একজনকেও গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টারদিকে তাদের গ্রেপ্তার করলেও বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে গভীর রাতে।

একটি সূত্র জানায়- গ্রেপ্তার অভিযোনের পরে ডিবি পুলিশকে ম্যানেজে বিভিন্ন মহল থেকে সুপারিশ রাখেন বরিশাল আওয়ামী লীগ নেতা কাউন্সিলর আনিচুর রহমান। এমনকি তিনি একাধিক মাধ্যমে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে ডিবি পুলিশকে আর্থিক প্রস্তাব দেন। ফলে গ্রেপ্তার অভিযানের বিষয়টি শুরুতে কিছুটা সময় লুকোচাপা থাকলেও ডিবি পুলিশ মাদক সংশ্লিতার ঘটনা ছাড় দিতে নারাজ থাকার কথা জানিয়ে সকল তদ্বির ও প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে মামলার উদ্যোগ নেয়।

ডিবি পুলিশের ভেতরকার একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে- বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দায়িত্বশীল মহল মাদকের বিষয়ে জিরো ট্রলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে পুলিশ কমিশনার এই বিষয়ে হার্ডলাইনে থাকায় কাউন্সিলরপুত্রকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে ডিবি পুলিশ কোন ধরনের গাফলতি করেনি।

ডিবি পুলিশের অপর একটি সূত্র জানায়- মঙ্গলবার দুপুরে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজিত কুমরা গোমস্তার নেতৃত্বে একটি টিম শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর জাগুয়া খালপাড় সড়কে অভিযান চালিয়ে শের-ই বাংলা সড়কের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. সাব্বির হোসেন হারিছ (৩৫) এবং ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিচুর রহমান শরীফের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম শরীফকে (৪০) গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে ২০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। মূলত দুপুরের এই গ্রেপ্তার অভিযানের পরপরই ছেলেকে ছাড়িয়ে নিতে বিভিন্ন মহল থেকে তদ্বির শুরু করেন আনিচ শরীফ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের কঠোর ভুমিকার কারণে সেই তদ্বির আর ধোপে না টেকায় মাদক মামলায় কাউন্সিরপুত্রকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তবে ডিবি পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন- মাদক সম্পৃক্ততায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কারণ সরকার ইতিমধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। ফলে কাউকে ছাড় না দিয়ে যথাযথ আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যেমনটি কাউন্সিলরপুত্রের বিষয়টিতে হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কাউন্সিলর আনিচ শরীফের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিক কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করননি।

33 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন