বরিশাল: পুলিশ ইনভেষ্টিগেশন অব ব্যুরোর (পিবিআই) তদন্তে এবার ৮ বছরের এক শিশুকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এমনকি সেই তদন্তের ভিত্তিতে শিশুটির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে আদালত। সেই মোতাবেক শিশুটিকে আটক করে আদালতে নিয়ে আসে। যদিও শিশুটি আদালতে কাঠগড়ায় দাড়ানোর আগেই বিচারক তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে দেন।
শিশু সাকিব স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্র। হাস্যকর এই ঘটনাটি বরিশালের মুলাদি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের। জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে চাচা জসিম বরিশাল আদালতে একটি মামলা ঠুকে দেন গত ৭ মাস আগে। সেই মামলায় ভাতিজা ৮ বছর বয়সি সাকিব হাওলাদারসহ বেশ কয়েক জনকে আসামি করা হয়।
আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত দেন। যার প্রেক্ষিতে মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদনে এই শিশুকে জড়িয়ে আদালতে চার্জশিট দেয় সংস্থাটি। আসামিপক্ষের অভিযোগ সরেজমিনে তদন্তে না গিয়েই আদালতে চার্জশিট দেয়। যে কারণে বাদ পড়েনি শিশু সাকিবও। আদালত সূত্র জানায়, গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রেক্ষিতে মুলাদি থানা পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার শিশুটিকে আটক করে আদালতে নিয়ে যায়।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শিহাবুল ইসলাম কাঠগড়ায় শিশুটিকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যান। কারণ বরিশাল আদালতে এত কম বয়সী শিশু সোপর্দে উদাহরণ কম রয়েছে। যে কারণে শিশুটিকে দেখেই মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে দেন। শিশুটির ভাই মিরাজও সেই মামলার আসামি। তার অভিযোগ জমি সংক্রান্ত বিরোধীয় জেরে চাচা জসিম হাওলাদার তাদেরকে হয়রানি করতে মামলাটি দায়ের করেন।
কিন্তু তদন্তকারী সংস্থা পিআইবির কোন কর্মকর্তা এলাকায় না গিয়েই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। সেই অনুযায়ী শিশু সাকিবের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা দিলে পুলিশ মঙ্গলবার আটক করে নিয়ে যায়। যদিও মুলাদি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিউর রহমানের দাবি, শিশুটিকে গ্রেফতার বা আটক নয়, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর