বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৬:২৪ অপরাহ্ণ, ১১ ডিসেম্বর ২০১৭
বরিশালের আদালত চত্বর হতে সেবনরত মাদক ব্যবসায়ী আটক করে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে আইনজীবীরা। পুলিশ আসার আগেই মাদক ব্যবসায়ী আইনজীবীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশালের আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কাউনিয়া গরুরহাট এলাকার মরহুম কামরুলের ছেলে সজল ওরফে কশাই সজল আইনজীবী সমিতির পিছনে বসে মাদক সেবন করছিলেন।
অ্যাডভোকেট মামুন চৌধুরী ওই স্থান দিয়ে যাওয়ার সময় এ দৃশ্য দেখতে পেয়ে অ্যাডভোকেট রিপনের সহায়তায় সজলকে আটক করেন। তার দেহ তল্লাশি চালিয়ে ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, কিছু টাকা ও মাদক সেবনের সরঞ্জামাদী উদ্ধার করে তাকে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে নিয়ে যান। সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাচ্চু বিষয়টি জেনে পুলিশে খবর দেয়।
সম্পাদক প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে গেলে তার কক্ষে সজলকে আটক রেখে সমিতির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট হেপী আকতার, অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোক্তার হোসেন ও সদস্য অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান পাহারারত থাকে।
সদস্য মিজান মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে দরজা খুলে বাহিরে বের হলে সজল খোলা দরজা পেয়ে পালিয়ে যায়। সম্পাদক বাচ্চু ও কোতয়ালি থানার এসআই কুদ্দুস মোল্লা ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই আটক সজল পালিয়ে যাওয়ার খবর পান।
সম্পাদক বাচ্চু তার কক্ষের সিসি ক্যামেরায় ধারণ ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে সজলের পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হন। এবং থানা পুলিশকে অবহিত করেন। উদ্ধার মাদক ও সরঞ্জামাদী পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এ খবর লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি বলে জানায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বাচ্চু বরিশালটাইমসকে বলেন, মদক সেবনরত অবস্থায় আটক করে একজনকে কক্ষে আনে এডভোকেট মামুন চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট রিপন। মাদকের ঘটনা জেনে পুলিশে খবর দেয়া হয়। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে গিয়ে ফিরে এসে আটককে পাওয়া যায়নি।
পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনে সিসি ক্যামেরায় ধারণভিডিও দেখে পালানোর বিষয় নিশ্চিত হওয়া যায়। তার কাছ থেকে কত পিস ইয়াবা বা টাকা উদ্ধার হয়েছিল তা জানা সম্ভব হয়নি। উদ্ধার মাদক পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই কুদ্দুস মোল্লা বলেন, মাদক ব্যবসায়ী আটকের খবর পেয়ে আইনজীবী সমিতির সম্পাদকের কক্ষে গিয়ে আটক পালিয়ে যাওয়ার খবর পাই। পলিথিনে মোড়ানো ২পিসের মত ইয়াবা ট্যাবলেটের গুড়া ও দুটি লাইটার এবং মাদক সেবনের সরঞ্জাম আইনজীবীরা হাতে দেয়। কেউ নাম ঠিকানা না বলতে পারায় কোন মামলা দেয়া হয়নি।’