বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম মনি মোল্লার ভাই মামুন মোল্লাকে রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে শহরের রুপাতলী ‘ভোজন বিলাস’ নামক একটি হোটেলের সম্মুখে। এতে ওই আ’লীগ নেতার ভাই আহত হলে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু সেখানেও তাদের লোকজনের সাথে বিএম কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে গন্ডগোল হয়। ফলে ভয়ে চিকিৎসা না নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান মামুন মোল্লা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে- রুপাতলীর ভোজন বিলাসের সম্মুখে মোটরসাইকেল রেখে কাজ সারছিলেন আ’লীগ নেতার ভাই। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী মোটরসাইকেলের ওপরে বসে কথা বলছিলেন। এই দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ মামুন মোল্লা শিক্ষার্থীদের গালিগালাস করেন।
এই ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে খবর দিয়ে তাদের সহযোগিদের ডেকে এনে মামুন মোল্লাকে পিটুনি দেয়। একপর্যায়ে তাকে সড়কের ওপরে ফেলে পিটিয়ে ফেলে রেখে যায় শিক্ষার্থীরা। আহত অবস্থায় মামুন মোল্লাকে তার লোকজন উদ্ধার করে তাকে শেবাচিমে নিয়ে যায়। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে রনি নামে এক শিক্ষার্থীকে ভোজন বিলাস রেস্তোরাঁর ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
এদিকে মামুন মোল্লাকে শেবাচিমে নিয়ে গেলে সেখানে বিএম কলেজ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে তার লোকজনের বাকবিতন্ডা হয়। এতে ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে বাসায় চলে যান বলে শোনা গেছে।
অবশ্য হামলার বিষয়টি স্বীকার করে মি. মামুন মোল্লা বরিশালটাইমসকে বলছেন ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি হয়েছে।
একই বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারি কমিশনার (এসি) মো. শাখায়াত হোসেন বরিশালটাইমসকে জানিয়েছেন- বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কিন্তু কেউ কোন অভিযোগ করেনি।’
বরিশালের খবর