বরিশাল মিডিয়ায় কর্মরত মেহেদী হাসান নামে এক সংবাদকর্মীকে হত্যাহুমকি অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম ছবির বিরুদ্ধে। বরিশাল কোতয়ালি থানা পুলিশ ওই সংবাদকর্মীর সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে তদন্তে করে হত্যাহুমকির বিষয়টির প্রমাণ পেয়েছে। অবশ্য গত সোমবার এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ইতিমধ্যে ওই থানা পুলিশের এসআই সমিরন মন্ডল আদালতে জমা দিয়েছেন।
সেই প্রতিবেদনের সাথে মোবাইল ফোনে হত্যাহুমকির ভয়েস রেকর্ডিংও দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশের কাছে হত্যাহুমকির বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন।
পুলিশও তার সেই সরল স্বীকারোক্তি প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে। আদালতে কর্মরত কোতয়ালি পুলিশের জিআরও সুব্রত জানিয়েছেন খুব শিগগিরই এই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকের কাছে পৌছে দেওয়া হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ সাধারণ ডায়েরির বরাত দিয়ে জানিয়েছে- ‘দেশ কণ্ঠস্বর’ নামে একটি অনলাইন নিউজপোটালে সংবাদ প্রকাশের জেল ধরে গত ৩১ অক্টোবর ওই পত্রিকাটির সংবাদকর্মী মেহেদী হাসানকে হত্যার হুমকি দেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম ছবি।
ওই ঘটনায় স্ববিস্তার অভিযোগ তুলে ধরে মেহেদী হাসান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কোতয়ালি মডেল থানার এসআই সমিরন মন্ডল দীর্ঘদিন তদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পেলে তা আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করেন।
এক্ষেত্রে আইন বিশেষজ্ঞদের অভিব্যক্তি হচ্ছে- এই সাধারণ ডায়েরির তদন্ত প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়না দিতে পারেন। পাশাপাশি বিচারকার্যও শুরু করে দিতেও পারেন।
এক্ষেত্রে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম ছবির ফেঁসে যাওয়ার বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে।’’
শিরোনামবরিশালের খবর