বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৯:২০ অপরাহ্ণ, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
বরিশাল নগরীর ব্যবসায়িক জোন চকবাজারে বনভোজনের নামে জোরপূর্বক টাকা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে কতিপয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত ১ সপ্তাহে অন্তত অর্ধলক্ষ টাকা উত্তোলন করায় বিষয়টি নিয়ে চকবাজারে তোলপাড় অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ চকবাজার ব্যবসায়ি মালিক সমিতির নামে সভাপতি দাবিদার শাজাহানসহ অন্তত ১০ জন এই চাঁদাবাজিতে প্রত্যক্ষ এবং পরক্ষভাবে জড়িত।
বিশেষ করে বনভোজনের নামে চাঁদাবাজির বিষয়টি আগেভাগে ফাঁস হয়ে যাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠন মালিক সচেতন হয়ে যাওয়ায় বেশ সমালোচনা চলছে চকবাজারে। এমতাবস্থায় অনেক ব্যবসায়ি আঙুল তুলে বলছেন, শাজাহান নিজেকে যে সংগঠনের সভাপতি দাবি করছে সেই সংগঠনের কোন বৈধতা নেই। এমনকি দক্ষিণ চকবাজার ব্যবসায়ি মালিক সমিতি নামের সংগঠনের অস্তিত্বও নেই চকবাজারে।
অথচ সামায়িক সুবিধার জন্য শাজাহান এই নামের সংগঠন তৈরি করে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছেন চাঁদাবাজি। পিকনিকের টিকিট দোকান মালিকদের হাতে জোরপূর্বক তুলে দিয়ে নেয়া হচ্ছে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। যে কারণে ব্যবসায়িদের বৃহৎ একটি অংশ এই চাঁদাবাজির ঘটনায় ফুসে উঠেছেন। যদিও এই বিষয়টিকে চাঁদাবাজি বলছে নারাজ কথিত সভাপতি শাজাহান।
তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শাজাহানের সাথে সাইদুল, মুসা, মোহাম্মদ আলী, সেলিম ও কামাল একট্টা হয়ে গত ১ সপ্তাহ যাবৎ এই চাঁদা উত্তোলন করছেন। জোরপূর্বক হাতে ধরিয়ে দেয়া টিকিট নিতে নারাজ এমন প্রতিষ্ঠান মালিকদের সাথে তাদের দফায় দফায় বাক বিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় চকবাজারে ঢের সমালোচনা চললেও শাজাহানের বেপরোয়া চাঁদাবাজি চলছেই। উদাহরণস্বরুপ আলম ব্রাদার্স, রাজিব স্টোর্স, ইদ্দিস সন্স ও পান্না গ্লাস ওয়ার্কসপসহ অন্তত ২০ টি প্রতিষ্ঠান থেকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা উত্তোলন করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক মালিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলছেন, এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তাদের সাথে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। সেইসব ঘটনায় অধিকাংশ মালিক বনভোজনে যেতে নারাজ, ফুঁসে উঠেছে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে।
অবশ্য এই সকল অভিযোগ সমুলে অস্বীকার করে কথিত সভাপতি শাজাহান বলছেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও বনভোজনের আয়জন করা হয়েছে মালিকদের পক্ষ থেকে। যে কারনে দোকান প্রতি ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু যে সংগঠনের ব্যানারে এই চাঁদা তোলা হচ্ছে তার কোন বৈধতা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন শাজাহান। এমতাবস্থায় এই চাঁদাবাজি রোধে বরিশাল পুলিশ প্রশাসনে ভূমিকা রাখা জরুরি বলে মনে করছেন ব্যবসায়িক মহল।