বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পরিবর্তন করেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার দলটির দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৫ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় সমর্থন দিয়েছিল খান আলতাফ হোসেনকে। গতকাল ১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে খান আলতাফ হোসেনের সমর্থন বাতিল করে মো. মইদুল ইসলামকে সমর্থন দেয়া হয়।
আগামী ২৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের পাঁচজন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠন হবে। এজন্য প্রতিটি জেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটকেন্দ্র রাখা হবে।
২৫ বছর বয়সী যেকোনো ভোটার জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন, তবে ভোট দিতে পারবেন না। ভোটাধিকার থাকবে কেবল জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি/পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের। আর প্রার্থীর প্রস্তাবক-সমর্থক হতে হবে তাদেরই।
জেলা পরিষদ নির্বাচন করার জন্য গত ৬ অক্টোবর জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করে সংসদে বিল পাস হয়। ২০০০ সালের জেলা পরিষদ আইনে পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তের বিধান ছিল না। নতুন আইনে আদালতে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়া সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্তের বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আগের আইনে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। এখন তারা ভোট দিতে পারবেন। ওই আইনে বলা হয়েছে নির্বাচন করতে চাইলে জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসকদের পদ ছাড়তে হবে।
সরকার ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের তিনটি জেলা বাদে বাকি ৬১টি জেলা পরিষদে দলীয় নেতাদের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়। তখন স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা বলেছিলেন, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জেলা পরিষদ গঠন করা হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অনির্বাচিত প্রশাসক দিয়ে চলছে জেলা পরিষদ। ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জেলা পরিষদ পাবে নির্বাচিত প্রশাসক।
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর