বরিশাল টাইমসে সংবাদ প্রকাশ: এএসআই সুজন দেবনাথকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার
মোঃ জসীম উদ্দিন বাউফল (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফলে মাদক মামলার আসামী বলে নিরাপরাধ চার যুবকের কাছে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা ঘুষ দাবির অডিও ফাঁসের ঘটনায় বরিশাল টাইমসএ সংবাদ প্রকাশের পরে বাউফল থানার এএসআই সুজন দেবনাথকে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে
পটুয়াখালী পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২.৩০ মিনিটে উপজেলার বগা ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজ গেটে বাউফল-বরিশাল সড়কে পুলিশের চেক পোস্টে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক হয় বাউফল সদর ইউপির যৌতা গ্রামের দেরাজ সরদারের ছেলে হাসিব সরদার।
এ ঘটনায় হাসিব সরদারকে একমাত্র আসামি করে বাউফল থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করে বগা পুলিশ ফাড়ির এসআই সোহেল খান। যাহার মামলা নং ৩ তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং। এ ঘটনার পরের দিন শুক্রবার বাউফল থানা পুলিশের এএসআই সুজন দেবনাথ বাউফলের যৌতা ও ওলিপুরা গ্রামে গিয়ে ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম (১৯), আমানুল ইসলাম (১৮), মোঃ ছালাম ওরফে সালেম (২৯) ও নাঈম হাওলাদার (২১) তাদের পরিবারকে জানায় ১.৫ কেজী গাঁজার একটি মাদক মামলায় তাদের নাম আছে। ওরা বাড়ি আসলে যেনো তাকে (এএআই সুজন কে) ডাকা হয়৷
এরপরে এএসআই সুজনের কথিত সোর্স অপর একটি মাদক মামলার আসামি হাসান সরদার (২২) ও আরিফ হোসেন প্যাদা (৩০) পৃথক ভাবে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে যায় এবং এএসআই সুজনের সাথে রফাদফা করে নাম কাটানোর পরামর্শ দেয়।
পরে সুজন দেবনাথ কে প্রতি পরিবার ১৫ হাজার টাকা করে দিলে তাদের নাম কাটানো সম্ভব বলে সুজনের কথিত সোর্স হাসান ও আরিফ জানায়। পরবর্তীতে এএসআই সুজন
নিজে ভুক্তভোগী তরিকুলের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে সরাসরি ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন এবং তিনি নিজেকে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দাবি করেন। মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করার একাধিক কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বরিশাল টাইমস সহ একাধিক প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের পরে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে (এএসআই সজন) পটুয়াখালী পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। এএসআই সুজন দেবনাথকে পটুয়াখালী পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আল মামুন।
শিরোনামপটুয়াখালি