বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় নিজের স্ত্রীকে গণধর্ষণে সহায়তা করায় স্বামীসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই গৃহবধূ।
আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহের মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দেন।
এই মামলার অভিযুক্ত হলেন- বরিশালের রূপাতলীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আজিজ খলিফার পুত্র মো. ইউনুস খলিফা, সাদেক মাঝির পুত্র রিপন মাঝি, ওয়াহেদ খলিফার পুত্র লিটন খলিফা এবং লেচু খানের পুত্র কবির খান। বাকি একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়- ২০১২ সালে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি এলাকার মৃত আবুল হোসেন হাওলাদারের কন্যার (২৮) সাথে বরিশালের রূপাতলী ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আজিজ খলিফার পুত্র মো. ইউনুস খলিফার বিয়ে হয়। পারিবারিক জীবনে তাদের ১ পুত্র সন্তান হয়।
পরবর্তীতে ২০১৫ সালের পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর সাথে স্বামী ইউনুস খলিফার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরবর্তীতে তাঁরা ওই বছরের নভেম্বর পুনরায় আবার কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রায় সময়ই তাদের ঝগড়াঝাটি হতো এবং প্রায় সময়ই ইউনুস খলিফা তার স্ত্রীকে মারধর করত।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১ মার্চ রাত ৮ টার সময় ইউনুস খলিফা তার স্ত্রীকে জরুরি কথা আছে বলে ঘর থেকে ডেকে পশ্চিম পার্শ্বের মাঠে নেন।
যেখানে রিপন মাঝি, লিটন খলিফা, কবির খান ও অজ্ঞাতনামা একজন গৃহবধূর হাত পা ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে তাকে মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।’’
শিরোনামবরিশালের খবর