বরিশাল: বান্ধবীকে ইভটিজিং করাকে কেন্দ্র করে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার বিকেলে ক্যাম্পাসে বসে থাকা অবস্থায় মেকানিক ৫ম বর্ষের ছাত্র মাহমুদ মুন্নার বান্ধবীকে ইভটিজিং করে ছাত্রলীগ কর্মী ও ইনস্টিটিউটের সিভিল বিভাগের ৫ম বর্ষের ছাত্র অনুপ হালদার।
এসময় এর প্রতিবাদ করে ছাত্র মাহমুদ মুন্না। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায় অনুপ ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্নাকে ইট দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এর কিছুক্ষণ পরই মুন্নাকে মারধর করার প্রতিবাদে মুন্নার বন্ধুরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এসময় মুন্নার বেশ কয়েকজন বন্ধুকে মারধর করে অনুপ এবং তার সহযোগী ফাহিম, রায়হান, জাহিব, তামিমসহ ১০ থেকে ১৫ জন।
সন্ধ্যার পর বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের আরও সমর্থক জড়ো হলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটক্কেল নিক্ষেপের ঘটনা সহ দুই গ্র“পের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শী প্রধান ছাত্রাবাসের রুবেল নামের এক ছাত্র জানান, ইভটিজিং ছাড়াও এ সংঘর্ষের আরেকটি কারণ আধিপত্য।
কেননা, দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজের প্রধান ছাত্রবাস এবং কলেজ পার্শ্ববর্তী টুইন টাওয়ার নামক একটি মেসের দুই ছাত্রলীগ নেতার অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। যার প্রেক্ষিতে টুইন টাওয়ার মেসের আবাসিক ছাত্র কলেজ ছাত্রলীগ নেতা জসিমের অনুসারী মুন্নার বান্ধবীকে ইভটিজিং করে কলেজের প্রধান ছাত্রাবাসের আবাসিক ছাত্র ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রেজার অনুসারী অনুপ। তাই পূর্বের দ্বন্দ্ব থাকায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
পরে রাতে পুনরায় দুই গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রধান ছাত্রাবাসের ছাত্ররা।
এ ব্যপারে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখয়াত হোসেন জানান, ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের মধ্যে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেছে।
বিষয়টি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ড. ফরিদ উদ্দিনের জানা নেই বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ড. ফরিদ উদ্দিন জানান, ঝামেলার কথা শুনেছি।
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, পূর্বেও ছাত্রলীগের এ দুই গ্র“পের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।
এছাড়া এ দুই গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে ইতিপূর্বে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের পার্শ্ববর্তী বসতবাড়িও ভাঙচুর করেন তারা।
এ সংঘর্ষের পেছনে স্থানীয় মেহেদী নামের এক যুবলীগ নামধারী কর্মীর ইন্ধন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেশ কিছু স্থানীয়রা।’
খবর বিজ্ঞপ্তি, বরিশালের খবর