ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির ডাকে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ঝালকাঠি জেলার দক্ষিণাঞ্চলের ৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির দাবি- তাদের জেলার সড়ক ব্যবহার করে দক্ষিণাঞ্চলের এসব রুটে গাড়ি চলাচল করলেও ঝালকাঠি-বরিশাল ছাড়া কোনো রুটে ঝালকাঠি মালিক সমিতির গাড়ি চলতে দেয়া হয় না।
তাই এই ধর্মঘট আহবান করা হয়েছে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।
অবশ্য গত ১৪ ডিসেম্বর মালিক সমিতি ঝালকাঠিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল।
যে কারণে সোমবার বরিশাল-বাকেরগঞ্জ, বরিশাল-নিয়ামতি, বরিশাল-কাঠালতলী, বরিশাল-পটুয়াখালি, বরিশাল-বাউফল, বরিশাল-কুয়াকাটা, বরিশাল-বরগুনা ও বরিশাল-পিরোজপুর রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে সংগঠনটি।
ঝালকাঠি বাস মিনিবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন খান বরিশালটইিমসকে বলেন- আমরা দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল মালিক সমিতি ও বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসনের কাছে দেনদরবার করে এ দাবি পূরণের অনুরোধ জানিয়ে আসছি।
কিন্তু বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা বাস মালিক সমিতির গাড়ি এসব রুটে চলাচল করলেও ঝালকাঠি মালিক সমতির গাড়ি চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত এ দাবি পূরণে আমরা আল্টিমেটাম দিতে বাধ্য হয়েছি।
ঝালকাঠি জেলা বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহমুদ বাচ্চু বরিশালটাইমসকে বলেন, আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করায় পশ্চিমাঞ্চলের পিরোজপুর থেকে খুলনা পর্যন্ত ৫টি রুটে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি গাড়ি চলাচল করছে।
অথচ ঝালকাঠি জেলার ৮ কিলোমিটার সড়ক ব্যবহার করে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির গাড়ি দক্ষিণাঞ্চলের এসব রুটে চলাচল করছে। কিন্তু আমাদের গাড়িগুলো বরিশাল-ঝালকাঠি ছাড়া কোনো রুটে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না।
এমনকি সমন্বয় পরিষদের সভাসহ বরিশাল প্রশাসন পর্যায়ে একাধিকবার আলোচনা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হয়নি। সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে এ দাবি বাস্তবায়নে পুনরায় অনুরোধ জানিয়েছিলাম আমরা।
তাই ১৮ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর ঝালকাঠি জেলার সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের সকল গাড়ির রুট চালু রাখলেও দক্ষিণাঞ্চলের কোনো রুটে ঝালকাঠি মালিক সমিতির গাড়ি চলবে না এবং অপর কোনো মালিক সমিতির গাড়িও চলতে দেয়া হবে না।
তবে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির এই অঘোষিত ধর্মঘটকে অযোক্তিক বলে দাবি করছেন বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন। তিনি অতিরিক্ত কোন সুবিধা না নিয়ে বাসা চালানো হচ্ছে।
সর্বশেষ নলছিটির তালতলা রুটটিও তাদের গাড়ি চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কেন এই ধর্মঘট ডেকে মানুষ হয়রানি করা হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে বিষয়টি সুরহার জন্য বিভাগীয় প্রসাশনের হস্তক্ষেপে আলোচনা চলছে। আশা রয়েছে খুব তারাতারি সুরহা হবে ও বাস চলাচল স্বাভাবি করা সম্ভব হবে।’’
শিরোনামঝালকাঠির খবর