বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি বলেছেন- সবাই বলেছে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হয়েছে আর বিএনপি বলছে ভালো হয়নি। অর্থাৎ ভালো সব কিছুতেই বিএনপির না।
তাই মানুষ এখন বুঝে গেছে বিএনপির কথার কোন মূল্য নেই। তারা বিগত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যেমন ব্যর্থ হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও অংশ না নিলে ব্যর্থ হবে। যারা রাজনীতিতে ব্যর্থ তারা নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ভোলা শহরের গাজিপুর রোডের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।
আওয়ামী লীগ দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে। এগিয়ে যাবে। বিশ্বের উন্নত এগারোটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট জয়লাভ করবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের যে কোন দিন ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশ সবদিক থেকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী। এ দেশ এখন উদীয়মান অর্থনৈতিক উন্নয়নের দেশ। আমরা ইতোমধ্যেই নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে প্রবেশ করেছি।
দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরিত হতে চলেছে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে রুপান্তরিত হবো। তখন বাংলাদেশ হবে একটি ভিন্ন বাংলাদেশ। আর ২০৪১ সালে আমরা হবো একটি উন্নত দেশ।
ভোলাও অর্থনৈতিকভাবে একটি উন্নত জেলা। এ জেলায়ও ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে। ১৭০০ কোটি টাকা ব্যয় করে ভোলার নদী ভাঙন রোধ করা হয়েছে। অথচ বিএনপির আমলে ভোলায় দুইজন পানিসম্পদ মন্ত্রী থাকাকালে নদী ভাঙন রোধে কিছুই করেনি। তারা শুধু উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে।
বর্তমানে রাস্তাঘাট উন্নয়নের জন্য ৪৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে ভোলা জেলায় কোনো কাঁচা রাস্তা থাকবেনা। ২০১৮ সালের মধ্যে ভোলা জেলার প্রত্যেক ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে।
অচীরেই ভোলা হবে বাংলাদেশের ভেতর সর্বশ্রেষ্ঠ উন্নত ও সমৃদ্ধ শিল্পনগরী জেলা। এ জেলা হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর। কারণ ভোলায় পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে। সেই গ্যাস দিয়ে গ্যাসভিত্তিক শিল্প, কল-কারখানা স্থাপন করা হবে। শিল্প-কারখানা করার জন্য ইতোমধ্যে এখানে জমি বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে। দেশ-বিদেশের অনেক ব্যবসায়ী ও শিল্পদ্যোক্তা ভোলায় জমি কিনে শিল্প, কল-কারখানা স্থাপন করেছে। শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য অনেক ব্যবসায়ী ভোলায় জমি ক্রয় করেছে।
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ভোলাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন রয়েছে। এমন দিনও আসবে যেদিন সরাসরি ঢাকা থেকে পদ্মা ব্রিজ পার হয়ে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ পার হয়ে ভোলায় আসা যাবে। ভোলা-বরিশাল সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের কাজ শুরু হচ্ছে। ভোলা-বরিশাল ব্রিজ স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
ভোলা-বরিশাল সড়ক যোগাযোগের জন্য ব্রিজ স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত ভোলা-বরিশাল সড়ক স্থাপিত হবে। ভোলা-বরিশালের ব্রিজ স্থাপিত হলে মাত্র ২ ঘণ্টায় ভোলা থেকে বরিশাল যাওয়া সম্ভব হবে। ঢাকা যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টা। রাজনৈতিকভাবেও ভোলা খুব শান্ত। এখানে আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা।
ভোলায় ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এখানে আরও একটি প্রতিষ্ঠান ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপিত হবে।
এ ছাড়া এখানে দেড়শো মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে। ভোলার সঙ্গে বরিশালের পায়রা বন্দরের সঙ্গে ভোলার যোগাযোগ উন্নত হবে। কারণ ভোলা থেকে পায়রা বন্দরে যেতে সময় লাগবে মাত্র ২ ঘণ্টা।
এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমান এবং সাবেক সভাপতি আবু তাহের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।’’
শিরোনামভোলা