বরিশাল নগরীর একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সরকারি অনুমোদনবিহীন প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের ওষুধ উদ্ধার করেছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। বুধবার রাতে অক্সফোর্ড মিশন রোডের বহুতল ভবন নিলাচল থেকে এসব ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
পাশাপাশি অনুমোদনহীন এসব ওষুধ মজুদ ও বাজারজাত করার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন বরিশাল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সিনিয়র এএসপি আসাদুজ্জামান।
নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডের একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া জামালের ফ্লাটে অভিযান চালানো হয়। এসময় তার ফ্লাটে মজুদ রাখা অনুমোদনবিহীন বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বিদেশি তিন হাজার টাকা মূল্যের এবং হৃদরোগের ওষুধও রয়েছে।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে জামালের বাবা সুলতান মুন্সী (৭০) এবং বিক্রয় প্রতিনিধি কাইয়ুমকে (২৪) আটক করা হয়। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হুসেইন খান বরিশালটাইমসকে জানান- অভিযানে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্য সমমান অনুমোদনবিহীন ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ওষুধ আইন ও বিএসটিআই আইনের পৃথক ধারা অনুযায়ী আটক সুলতান মুন্সীকে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও কাইয়ুমকে দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত সুলতান মুন্সীর বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা এবং কাইয়ুমের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার কড়াপুর ইউনিয়নে।
উদ্ধার ওষুধগুলো আদালতে জব্দ করে তা রাত সাড়ে ১১টার দিকে নদী তীরবর্তী এলাকায় নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়
ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক তানভীর আহমেদ বরিশালটাইমসকে জানান- বিভিন্ন দামের এসব ওষুধ বিক্রি করে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছিল।
এপিবিএন পুলিশের পাশাপাশি অভিযানে বিএসটিআই ও ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক বরিশালের কার্যালয় সহায়তা করে।
শিরোনামবরিশালের খবর