খুলনা ও গাজীপুরের মতো আসন্ন বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও জয় চায় শাসক দল আওয়ামী লীগ। সে লক্ষে নানা কর্মকৌশল প্রণয়ন করেছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। এরই অংশ হিসেবে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে গঠিত তিনটি পৃথক সাংগঠনিক টিম ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। গত সোমবার টিমের সদস্যরা সিটিগুলোর দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
এসব বৈঠকে অভ্যন্তরীণ কোন্দল দ্রুত মিটিয়ে ফেলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে একযোগে কাজ করাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ তিন সিটির মেয়র পদে জয় নিশ্চিত করতেই বিভিন্ন কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।
আগের দুই সিটির জয়ের পাশাপাশি এ তিনটিতেও যদি জয় আসে এর ইতিবাচক প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে- এমনটি মনে করছেন তারা। আর এবারই প্রথমবারের মতো সিটিগুলোতে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় এসব নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে বলেও ধারণা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের।
তাদের মতে, স্থানীয় নেতাদের দলীয় কোন্দলে প্রার্থীদের জয় বাধাগ্রস্ত হতে পারে- এমন আশঙ্কা থেকে ভোট গ্রহণের বেশ আগেই কেন্দ্রের নজরদারি বাড়িয়েছে দলটি। যাতে নির্বাচনের সময় দলীয় নেতাকর্মীদের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি বন্ধন সুদৃঢ় হয়।
এরপরও যদি নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কেউ অব্যাহত রাখে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই তৃণমূলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংগঠনিক সফরে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ইতোমধ্যে এই তিন সিটিতে মনোনয়নপত্র বিতরণ-জমা ও প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
৯ জুলাই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর ১০ জুলাই এ তিন সিটি নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন। সেদিন থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণার কাজ।
সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, দেশের মানুষ এখন উন্নয়নে বিশ্বাস করে।
বিগত সময়ে এসব সিটিতে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন, তারা কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এখন মানুষ অনেক সচেতন।
এর প্রভাব খুলনা ও গাজীপুরে লক্ষ্য করা গেছে। আসন্ন এই তিন সিটিতেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থীকে ভোটাররা নির্বাচিত করবেন।
এদিকে তিন সিটিতেই জয় নিশ্চিত করতে সোমবার থেকে আওয়ামী লীগের তিনটি টিম সিটিগুলোতে কাজ শুরু করেছে।
সিলেটে আছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের নেতৃত্বাধীন একটি টিম। তারা বিভাগীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। নির্বাচনে জয় নিশ্চিতে নানা কর্মপরিকল্পনাসহ কেন্দ্রের নির্দেশ স্থানীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দেন।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী।
খুলনা ও গাজীপুরে মানুষ দেশের অগ্রগতির পক্ষে রায় দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনেও ভোটাররা উন্নয়ন-অগ্রগতির পক্ষে ভোট দেবে।
সিলেটে দলীয় কোন্দল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন- এখানে দলের ভেতরে-বাইরে কোনো দ্বন্দ্ব-কোন্দল নেই। প্রার্থী জনপ্রিয় হওয়ায় এখানে দলের আর কেউ মনোনয়ন প্রত্যাশাও করেননি। এটি প্রমাণ করে সিলেটে কতটা ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ।
সিলেটে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।
অনেক আগে থেকেই দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পাওয়ায় এখানে আওয়ামী লীগ থেকে তেমন কেউ প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেননি। সিলেটে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী অন্য নেতারাও এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে জোর গণসংযোগে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান সাংবাদিকদের বলেন, সিলেটে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ এবং আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। তাছাড়া এখানকার মানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা উন্নয়নে বিশ্বাস করে।
সে লক্ষ্যে সিলেটবাসী আওয়ামী লীগের প্রার্থী, নৌকার প্রার্থী তথা সরকারদলীয় প্রার্থীকে ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে। আশা করি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করতে পারব।
সিলেটে সর্বশেষ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালের ১৫ জুন। সেই নির্বাচনে ৩৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী। পরাজিত হন আওয়ামী লীগের বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তবে এর আগে দুই দফায় মেয়র ছিলেন কামরান। এবারও বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী।
এদিকে বরিশাল সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম।
স্থানীয় নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় এই টিম সিটির বাইরে গিয়ে নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচনী নানা নির্দেশনা দিয়েছেন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী উল্লেখ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বরিশালের ভূমিপুত্র হল সাদিক আবদুল্লাহ।
পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বও দিচ্ছেন সাদিক। যুব সমাজ গাজীপুরের মতো তাকেও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। প্রতিপক্ষের বয়স্ক ও বরিশালের উন্নয়ন হন্তারক কোনো প্রার্থীকে আর সিটি মেয়র হিসেবে দেখতে চায় না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
বরিশালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর বড় ছেলে সাদেক আবদুল্লাহ সেরনিয়াবাত।
এখানে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম ও মাহবুব উদ্দিন আহমেদ প্রার্থীতার ঘোষণা দিলেও পরে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে অবস্থান নেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রকাশ্যে কোনো দ্বন্দ্ব না থাকলেও নীরব আছেন অনেকেই। আর সেটি মিলিয়ে দিতেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের টিম কাজ করছে। বরিশালে মেয়র পদে পরিবর্তন করে সাবেক মেয়র ও দলের যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারকে ধানের শীষের প্রার্থী করেছে বিএনপি।
বরিশালে সর্বশেষ সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৩ সালের ১৫ জুন। সেই নির্বাচনে ৮৫ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামাল।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের তৎকালীন মেয়র মরহুম শওকত হোসেন হিরন পান ৬৭ হাজারের কিছু বেশি ভোট। এদিকে রাজশাহী সিটি নির্বাচন উপলক্ষে দু’দিন থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি টিম রাজশাহীতে কাজ করছে।
এই টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। সোমবার রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই নির্বাচন নেতাকর্মীদের জন্য অগ্নিপরীক্ষা।
কেন্দ্রগুলোতে ভোট কমবেশি হলে আপনাদের জবাব দিতে হবে। বেশি হলে পুরস্কার আর কম হলে তিরস্কার রয়েছে। এজন্য প্রতিটি ওয়ার্ডের প্রতিটি মহল্লায় মহল্লায় গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে হবে। যদি কোনো ওয়ার্ডে প্রার্থী ভোট কম পায় এর দায়ভার ওই ওয়ার্ডের নেতাদের নিতে হবে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন- প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে কমিটি করতে হবে। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বোঝাতে হবে নৌকার প্রার্থীর বিষয়ে। লিটনের উন্নয়নের কথা তাদের কাছে বলতে হবে।
সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন- খায়রুজ্জামান লিটন রাজনীতির নক্ষত্র।
প্রধানমন্ত্রী তাকে অনেকবার জাতীয় রাজনীতি করতে বলেছেন। কিন্তু তিনি রাজশাহীর মানুষকে ভালোবেসে এ ভূমি ছেড়ে যাননি। তিনি যেমন রাজশাহীর মানুষকে ভালোবাসেন, তেমনি তাকে সবার ভালোবাসতে হবে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গত পাঁচ বছরে রাজশাহীবাসী উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মেয়র নির্বাচিত হয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। নগরভবনকে রাজনীতিকরণ করেছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, এবার আমরা রাজশাহী সিটি নির্বাচনে জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। এখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থী রাজশাহীর সদ্য বিদায়ী মেয়র ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
২০০৮ সালের সিটি নির্বাচনে দলীয় সমর্থন নিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে লড়াই করেন তৎকালীন মহানগর যুবদলের সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। তবে সে নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে পরাজিত হন। নির্বাচিত হয়ে লিটন উন্নয়ন দিয়ে রাজশাহী শহরের চিত্র পাল্টে দেন। তবে নানা সমীকরণের কারণে ২০১৩ সালের নির্বাচনে বুলবুলের কাছেই পরাজিত হন লিটন। এ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় বুলবুল মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হন একাধিকবার। দু’দফায় জেল খাটেন প্রায় ৬ মাস। ৫ বছরের মধ্যে সব মিলিয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন ২৬ মাস। নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
আওয়ামী লীগ যখন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকে, তখনই বিজয় অর্জন করে জানিয়ে দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, গাজীপুরে জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি যেটা কাজ করেছে, সেটা হল একতা। সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই বিজয় আনতে পেরেছে। খুলনায় রাগ-ক্ষোভ ভুলে সবাই এক হয়েছিল বলেই বিজয় এসেছিল। খুলনা ও গাজীপুরে নৌকার বিজয় আওয়ামী লীগকে আগামীর বিজয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার গণভবনে গাজীপুরের নবনির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম শুভেচ্ছা জানাতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
সেদিন গণভবনে দলের ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের বিশেষ বর্ধিত সভায় কোন্দল ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় কোন্দল নিরসন ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে সেদিন বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, যারা দলে দ্বন্দ্ব করবে, নির্বাচনে দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবে তাদের কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও কাউন্সিলর পদে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি। তবে মেয়র টার্গেট হওয়ায় কাউন্সিলর নিয়ে বেশি মাথা ঘামাচ্ছে না আওয়ামী লীগ। তাছাড়া কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে গিয়ে মেয়র পদে প্রচার-প্রচারণায় কোন্দল চলে আসুক- এমনটি চায় না আওয়ামী লীগ। এজন্য এই তিন সিটিতে আপাতত কাউন্সিলর পদ উন্মুক্ত রাখছে দলটি। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ সম্প্রতি যুগান্তরকে বলেন, এখন আমাদের মূল টার্গেট মেয়র। আমরা কাউন্সিলর পদ উন্মুক্ত রাখছি।’
শিরোনামবরিশালের খবর