দুইবার জীবন পাওয়ার সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন বেন স্টোকস। বাংলাদেশি ফিল্ডারদের সৌজন্যে তিনি পূরণ করেছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও। এতদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৫ রান ছিল তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। তার ১০১ রানের ইনিংসটির সঙ্গে জশ বাটলার ও বেন ডাকেটের হাফসেঞ্চুরিতে ইংলিশরা ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরে জমা করেছে ৩০৯ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জেসন রয় ও জেমস ভিন্স। উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেন ৪১ রান। যদিও শফিউল ইসলামের বলে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ১৬ রান করা ভিন্সকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট এনে দেন তিনি স্বাগতিকদের। খানিক পরই মাশরাফি বিন মর্তুজা ফেরান আরেক ওপেনার রয়কে (৪১)। বাংলাদেশ ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আরও ভালোভাবে নিজেদের হাতে নেয় কয়েক বল পর সাব্বির রহমানের সরাসরি থ্রোতে জনি বেয়ারস্টো (০) ফিরে গেলে।
৬৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন কঠিন চাপের মধ্যে ইংল্যান্ড। দ্রুত উইকেট হারানোর পথ হারানো ইংলিশ তরীর হাল ধরেন স্টোকস। যোগ্য সঙ্গ পেয়েছেন তিনি অভিষিক্ত বেন ডাকেটের কাছ থেকে। চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেন ১৫৩ রান। ইংল্যান্ডের রান বাড়িয়ে নেওয়ার সঙ্গে স্টোকস পূরণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও। যদিও তাতে আছে বাংলাদেশি বোলারদের অবদান! স্টোকসকে যে দুই দুইবার জীবন দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও মোশাররফ রুবেল। প্রথমে সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন মাহমুদউল্লাহ। তাসকিন আহমেদের বলে মিডঅনে নিচু ক্যাচ ধরেও ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। কয়েক বল পর আবারও বেঁচে যান স্টোকস মোশাররফ রুবেলের সৌজন্যে। সেঞ্চুরি পূরণ করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নেওয়া স্টোকসের উইকেটটি তখন নিতে পারলে নিশ্চিতভাবেই চেপে ধরা যেত ইংলিশদের।
তার সেঞ্চুরি পূরণ করার আগে অভিষেকেই হাফসেঞ্চুরির দেখা পাওয়া ডাকেটকে ফেরান শফিউল। উইকেট ছেড়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, উদ্দেশ্যে ছিল বড় শট খেলার, কিন্তু শফিউলের ফুলটস বল সরাসরি আঘাত করে উইকেটে। বোল্ড হয়ে ফিরে যান ৬০ রান করা ডাকেট। তিনি আউট হওয়ায় ভাঙে স্টোকসের সঙ্গে গড়া ১৫৩ রানের জুটি। কিছুক্ষণ পর আউট হন স্টোকসও। দুর্দান্ত সব শট খেলে ১০০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেছেন তিনি ১০১ রানের ইনিংস। মাশরাফির বলে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন এই অলরাউন্ডার। তিনি ফিরে যাওয়ার পর অধিনায়ক জশ বাটলার ঝড় তুললে ইংলিশদের স্কোর ছাড়ায় ৩০০। বাটলার ৩৮ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় খেলেছেন ৬৩ রানের কার্যকরী ইনিংস। তার উইকেটটি নেওয়া সাকিব ৫৯ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সবচেয়ে সফল বোলার অবশ্য মাশরাফি, ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি ৫২ রান খরচায়। আর শফিউলের ৫৯ রানে শিকার ২ উইকেট। খেলাধুলার খবর