বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯
বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চালু হওয়ায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের কোনো উপকার হয়নি, বরং তাদের বিপদ বেড়েছে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ভারতের শীর্ষস্থানীয় বাংলা সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
পত্রিকাটি জানায়, সোমবার কলকাতায় একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ‘ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’-র সভাপতি শাহরিয়ার কবির। পরে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও এই পদক্ষেপের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম জড়ানো হয়েছে। একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বলতে পারি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধরা এই আইন থেকে কোনও সুবিধা পাবেন না। বরং কোথাও কোথাও তারা হুমকির শিকার হচ্ছেন বলে খবর এসেছে।’
শাহরিয়ার কবির জানান, বিএনপি-জামাত সরকারের আমলে ধারাবাহিক নির্যাতনের ফলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দেশছাড়ার প্রবণতা বেড়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের আমলে তাতে রাশ পড়ে এবং এই প্রথম বাংলাদেশে আগের বছরের তুলনায় সংখ্যালঘুর সংখ্যা বেড়েছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে ভারতে সিএএ চালু হওয়ার পরে তারা ঘর-সংসার ফেলে দলে দলে ভারতে চলে আসবেন, এটা ভাবা বাতুলতা।
তিনি বলেন, ‘বরং কোথাও কোথাও তারা চাপেই পড়েছেন। যশোর ও কয়েকটি জায়গায় জমির হাঙরেরা সংখ্যালঘুদের বোঝাচ্ছে, সিএএ হওয়ার পরে ভারতে চলে যাও, ভাল ভাবে থাকতে পারবে!’
সোমবার কলকাতায় ‘ইন্দো বাংলাদেশ ফোরাম ফর সেকুলার হিউম্যানিজম’নামের একটি নতুন অরাজনৈতিক এক সংগঠনের সূচনা করেন শহরিয়ার কবির।
ওই সংগঠনের উদ্যোগে ‘ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: একটি পরম্পরা’শীর্ষক আলোচনায় তিনি বলেন, ‘প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম সিপাহি বিদ্রোহে শামিল হয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষ। তার পরেই ধর্মের বিভাজনে নামে ব্রিটিশ শাসকরা। যে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়, তার কবরের ওপর গড়ে ওঠে বাঙালি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র বাংলাদেশ।’
ওই অনুষ্ঠানে ভারতীয় ইতিহাসবিদ সুস্নাত দাশ বলেন, ‘দেশ ও প্রতিবেশীদের ইতিহাস সম্পর্কে ভারতের শাসকদের ভুল ধারণা তাদের পররাষ্ট্র নীতিতেও প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে। সিএএ-র ভ্রান্তি উপমহাদেশ জুড়ে অস্থিরতা ডেকে এনেছে।’