বাউফলে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘাত-রক্তপাত
মো. জসীম উদ্দিন, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আনন্দর্যালিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। তাকে রক্ষায় তার অনুসারীরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এতে আরও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ মার্চ) বাউফল হাইস্কুল মাঠ থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ( জনতা ভবন) থেকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি আনন্দর্যালি বের হয়। র্যালিটি একপর্যায়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে পৌঁছলে পুলিশ দলীয় কার্যালয় যেতে বাঁধা প্রদান করে। এ সময় পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে মোতালেব হাওলাদারের কর্মীরা পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুশিল রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে নেতা কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার দলীয় কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ গ্রুপের লোকজন তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় তাকে (মোতালেব) বাঁচাতে গেলে বগা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. নিজাম হাওলাদার (৪০), ইমরান (৩০), পলাশ দাস (৩৭), গৌতম চন্দ্র (৩৫), জাহিদ গাজী (৩০), রাজিব (২৮), পলাশ (৩৬), হাসান (২৭), বেল্লালসহ (২২) ২৫ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল মোতালেব হাওলাদারসহ ৩ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম ফিরোজ এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার একই সময়ে একই স্থানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন। এনিয়ে কয়েকদিন ধরে উপজেলাজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়, সবশেষে যা সংঘাত-রক্তপাতে রুপ নিল।
এই বিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন গণমাধ্যমে কোনো সাক্ষাৎকার না দিলেও থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আল মামুন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে লাঠিচার্জ করা হয়। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। এতে তিনিসহ পুলিশের আরও ৬ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
বর্তমানে পরিবেশ-পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর