বাউফলে ইউপি উপনির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ঘরে ঢুকে হামলা, কুপিয়ে জখম
মোঃ জসীম উদ্দিন,বাউফল (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউপি উপ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নৌকা মার্কার কর্মী, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা,মো.মনির সিকদারের ঘরে ঢুকে হামলা ভাংচুর ও কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২১অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়নের ছয়হিস্যা তাঁতেরকাঠি চৌরাস্তা বাজার এলাকায় সিকদার বাড়ীতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। আহত মনির সিকদারকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মনির সিকদারের স্ত্রী মোসাঃ শিল্পী বেগম বলেন, গত ৬ই সেপ্টেম্বর নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ উপ নির্বাচনে আমার স্বামী ( মনির) নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করে। ওই নির্বাচনে নৌকা মার্কা হেরে যায়।
নির্বাচনে হারার পর থেকেই বিজয়ী প্রাথী মোঃ মহসিনের চশমা মার্কার লোকজন সব সময় আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। ঘটনার দিন শুক্রবার মাসুদ সওদাগরের নেতৃত্বে ১৫থেকে ২০জন লোক জোর করে আমার ঘরে ঢুকে আমার স্বামীকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।
ঘরের সব মালামাল ভাংচুর করে তছনছ করে দেয় এসময় আমার ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ন অলংকার নিয়ে চলে যায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাসুদ সওদাগরের ব্যবহারিত মোবাইল ফোনে বক্তব্য নেয়ার জন্য চেষ্টা করলে তাঁর ফোন নম্বরটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর নাজিরপুর ইউপি উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ ইব্রাহিম ফারুককে ৬৫ ভোটে হারিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিদ্রোহী প্রার্থী এস.এম মহসিন (চসমা মার্ক)।
এ বিষয়ে হেরে যাওয়া প্রাথী মোঃ ইব্রাহীম ফারুক বলেন,নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে নিজিরপুরে প্রায় অর্ধশত নৌকার সমর্থক ও কর্মীদের ঘর- বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে।
এখনও প্রায় ৫শ নৌকার সমর্থক,আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এলাকা ছাড়া। এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, এই ঘটনার এখন পর্যন্ত ( এ রিপট লেখা পর্যন্ত) অভিযোগ পাইনাই। পেলে আইনানুক ব্যবস্থা নেয়া
হবে।