বাউফলে এলাকায় ঢুকতে পারছেন না স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী
মোঃ জসীম উদ্দিন,বাউফল (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারেরা এলাকায় ঢুকতে পারছেন না।
প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউপিতে ঢোকার বিভিন্ন প্রবেশ পথে বাধার সৃষ্টি করে মারধর করছেন বলে স্বতন্ত্র দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় সময় বাউফল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন।
চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তাঁর লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেছেন, প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকদের আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ নিয়ে বিতর্কিত ও নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ২৭ জুলাইয়ের নির্বাচন ২৫ জুলাই স্থগিত ঘোষণা প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
কিন্তু কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নিয়েই ইসি ২৪ আগষ্ট স্থগিত নির্বাচনের ফের ৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তার সমর্থকেরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
জীবন ও জীবিকার জন্য এলাকার বাহিরে থাকা সাধারণ ভোটারেরা নির্বাচন উপলক্ষে এলাকায় আসতে শুরু করেছে। তাঁদেরকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। সংবাদ সন্মেলনে মহসিন বলেন,গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে আমার কয়েকজন কর্মী এসেছে।
তাঁদের ওপর নুরাইনপুর-রামনাগর এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। ওই সময় আল আমিন মৃধা (৩২) নামে এক কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে।
তিনি বর্তমানে বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে।শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ছয়হিস্যা-তাতেরকাঠী এলাকায় তাঁর সক্রিয়কর্মী আবদুস ছালাম মৃধা (৫০) ও মো. শাহজাদা মোল্লার (৩২) বাড়িতে হামলা চালিয়ে অশালীন ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালসহ মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে নিমদী লঞ্চঘাট এলাকায় নিজাম সিকদারকে (৪৫) পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ আগষ্ট মো. রাসেল হাওলাদার (৩০) নামে তাঁর এক কর্মী সুলতানাবাদ বাজারে পোষ্টার টাঙাতে গেলে তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি।
তিনি আরও বলেন,স্থানীয় সাংসদ আসম ফিরোজ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য গত শুক্রবার থেকে এলাকায় অবস্থান করছেন। তাঁর (সাংসদ আ স ম ফিরোজ) দুই ভাতিজা চন্দ্রদ্বীপ ইউপির চেয়ারম্যান এনামুল হক ওরফে আলকাচ (৪৭) এবং উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে মনির হোসেন মোল্লার (৪৮) নেতৃত্বে বহিরাগত আওয়ামী লীগের দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক তাঁর (এসএম মহসীন) কর্মী-সমর্থকদের চিহ্ণিত করে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য বলছে।
আর যাঁরা ভোট কেন্দ্রে যাবে তাঁদেরকে দেখিয়ে নৌকায় ভোট দিতে হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। তা না হলে এলাকা ছাড়তে হবে। তাঁর (এসএম মহসীন) পক্ষে যাঁরা এজেন্ট থাকবে তাঁদেরকে মেরে ফেরার হুমকি দিচ্ছে।
মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন,‘জরুরী কাজে ঢাকায় ছিলেন। গত শুক্রবার রাত ১২ টার তিনি সড়ক পথে ঢাকা থেকে এসেছেন।তিনি তিন জায়গা দিয়ে নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠী ইউপির নিজ বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু প্রতিদ্বন্ধী আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বাধার মুখে এলাকায় যেতে পারেননি। এ ঘটনায় তিনি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে তিনি শঙ্কিত।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ বলেন,যেহেতু দল নমিনেশন দিয়েছে,নৌকা মার্কার পক্ষে নেতাকর্মীরা ভোট চাইতেই পারে। হামলার বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি নির্বাবনে ইনফুলেন্স করিনা। নিজের অবস্থা খারাপ তাই অনেক কথা বলবে।
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর