১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

বাউফলে কিশোরী গৃহবধূকে চিকিৎসা না করিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:২৯ অপরাহ্ণ, ১৬ এপ্রিল ২০১৭

পটুয়াখালীর বাউফলে সন্নিকা কবিরাজ (১৪) নামে এক কিশোরী স্কুলছাত্রীকে চিকিৎসা না করিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে গত শুক্রবার রাতে ওই কিশোরীর বাবা সংশ্লিষ্ট বাউফল থানায় মামলা করেছেন।

ওই কিশোরীর বাবার নাম বাবুল কবিরাজ। তিনি উপজেলার দাশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এবং সন্নিকা কবিরাজ বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম খান ফারুকী জানিয়েছেন- শনিবার সন্নিকার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্নিকা কবিরাজের সঙ্গে তার আপন চাচাতো ভাই সুমন কবিরাজের (২৩) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ১১ জানুয়ারি সন্নিকাকে নিয়ে সুমন ঢাকায় চলে যান।

সেখানে একটি দুর্গা মন্দিরে গিয়ে তাঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের এ বিয়ে পরিবারের কেউ মেনে নেয়নি। তাই ঢাকায় তাঁরা একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন।

কিছুদিন আগে সন্নিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্বামী সুমন সন্নিকাকে চিকিৎসা না করিয়ে ৯ এপ্রিল তাঁদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। কিন্তু সুমনের বাবা-মা তাঁদের আশ্রয় না দিয়ে বের করে দেন। পরে অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন সুমন।

গত বৃহস্পতিবার স্ত্রী সন্নিকা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাতের অন্ধকারে তার বাবার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যান।

পরের দিন শুক্রবার সকালে ওই বাড়ির লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় সন্নিকাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সন্নিকা মারা যায়।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম খান ফারুকী জানিয়েছেন- এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।”

29 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন