বাউফলে কালাইয়া বন্দরে কাঠ পুড়ে কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। এর নির্গত ধোয়ায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পরেছে। এ ব্যাপারে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও রহস্যজনক কারণে তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি।
এমতাবস্থায় স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেনÑ ওই বন্দরের কালাইয়া-দাশপাড়া বেইলী ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি ওয়াকফ এস্টেটের জমিতে মিজান মোল্লা নামের এক যুবলীগ নেতা কয়লা ভাটাটি নির্মাণ করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জনবসতিপূর্ন এলাকায় নির্মাণ করা কয়লার ভাটায় বিশাল আকৃতির ছয়টি চুলা বসানো হয়েছে। এসব চুলাগুলো থেকে নির্গত হচ্ছে ধোঁয়া।
কয়লাভাটার দায়িত্বে থাকা মো. আনোয়ারুল ইসলাম (৪৫) নামে এক মিস্ত্রি বরিশালটাইমসকে জানানÑ প্রতিমাসে প্রায় ৪হাজার মন কাচা কাঠ পোড়ানো হয় এ কয়লা ভাটায়। স্থানীয়ভাবে বেপারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গা থেকে এ কয়লা ভাটার জন্য গাছ কিনে আনা হয়। ওই কয়লারভাটা সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই কয়লার ভাটা চালু হওয়ার পর থেকেই শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহসহ নানা রোগে ভুগছেন তারা।
এ ছাড়াও এই কয়লা ভাটার ১শ’মিটার এলাকার মধ্যে রয়েছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাইস্কুল, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি কলেজ, ২টি সরকারী ও দুইটি বেসরকারী ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও এই কয়লাভাটার ১শ’ মিটারের মধ্য বসবাসকারী জনসংখ্যার পরিমান প্রায় ২ হাজার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার কয়েক ব্যক্তি বরিশালটাইমসকে বলেন- জনবসতিপূর্ণ এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজারসংলগ্ন ও ফসলি জমিতে কয়লাভাটা নির্মাণ করে কাঠ পোড়ানোর কারণে বন উজার হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ বিনস্টকারী ওই কয়লার ভাটাটি উচ্ছেদের দাবি জানান তাঁরা।
বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের কাঠ পুড়ে কয়লাভাটা করার কোনো অনুমোদন নেই। এ ব্যাপারে কয়েক মাস আগে স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মাহমুদ জামানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারণে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
শিরোনামখবর বিজ্ঞপ্তি, টাইমস স্পেশাল, পটুয়াখালি