বরিশালটাইমস, ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৪ অপরাহ্ণ, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: ছিলেন স্বল্প পূজির ফুটপাতের ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী। বিএনপি পরিবারে জন্ম হলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ভোল্ট পাল্টিয়ে যুক্ত হন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। রাতারাতি এলাকায় অর্থবিত্ত হিসেবে বনে যান এই যুবলীগ নেতা। আওয়ামীলীগ নেতা হবার পরই ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা।
শূণ্য থেকে কোটিপতি বনে যান উপজেলা যুবলীগের নেতা ও কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল ইসলাম ফোরকান। একাধিক সূত্র জানায়, ফোরকান ও তার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। নিজে বিএনপি পরিবারে জন্ম হলেও সাবেক এমপি আসম ফিরোজের ভাতিজা কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফয়সার আহম্মেদ মনির মোল্লার হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসেন ফোরকান।
প্রথমে উপজেলা যুবলীগের গ্রন্থ ও পাঠাগার সম্পাদক পদের দায়িত্বে বসার মনির মোল্লা। ২০১১ সালে প্রথম বার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। এতে বদলে যায় তার ভাগ্যের চাকা। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তার। একে একে তিন বার নির্বাচিত হন ই্ধসঢ়;উপি সদস্য। সর্বশেষ কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন ফোরকান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ কালাইয়া বন্দরে জমি বেচাকেনার দালালি, নতুন ভবন তুলতে চাঁদা, কারেন্ট জাল, পলিথিন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা সহ ব্যক্তিগত ট্রলারে করে গরুচুরি সহ নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে আয় করেন কোটি কোটি টাকা। সর্বশেষ ইউপি সদস্য নির্বাচনে তারে বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগও উঠে। বৃহৎ বানিজ্যিক বন্দর কালাইয়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন ফোরকান।
ওই টাকায় গড়ে তুলেন তিনতলা ভবন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দের কোনো কাজ না করেই অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ফোরকানের বিরুদ্ধে। কালাইয়া বন্দরের প্রাণ কেন্দ্র আলী আকবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তিন তলা বাড়িটি তার। যার বাজার মূল্য ৭ কোটি টাকারও বেশি। এছাড়াও নামে বেনামে রয়েছেন বাড়ি, জমিসহ বিপুল সম্পদ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ফোরকান মেম্বার বাজারে ফ্লাক্সি লোডের ব্যবসা করতেন। পারিবারিক ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও ফোরকান আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে ভাগ্য বদলে ফেলেন। মেম্বার ও দলীয় পদে বসে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। এবিষয় আওয়ামীলীগ নেতা ফকরুল ইসলাম ফোরকান বলেন, আমি হজ্জ্ব করে আসছি আমার স্ত্রীও হাজি। আমার সম্পাদের একটি টাকাও অবৈধ পথে আসেনি। প্রতিপক্ষরা আমাকে হেও করার জন্য এসব কথা বলছে।