১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

বাউফলে বিএনপি নেতা গাজী গিয়াসের সাংবাদিক সম্মেলন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৪১ অপরাহ্ণ, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মো. জসীম উদ্দিন, বাউফল (পটুয়াখালী):: পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বিএনপি নেতা গাজী মো. গিয়াস উদ্দিন সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার কালাইয়া বন্দরের প্যাদা রোডে নিজ বাসভবনে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।

সাংবাদিক সম্মেলনে গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল (রোববার) কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম উদ্দিন তুহিন ও দাশপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। আমি ওই সাংবাদিক সম্মেলনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছতার সাথে রাজনীতি করে আসছি। প্রায় ১২ বছর উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে অত্যাচার নির্যাতন, হামলা ও মামলার শিকার হয়েছি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি নামধারীদের চাঁদাবাজি, লুটপাট ও ব্যবসায়য়ীদের রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। এতে বিএনপি নামধারী একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে কালাইয়া হাটের ইজারাদার ছিলেন স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজের ভাতিজা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লা। সরকার পতনের পর তিনি পালিয়ে যান। তখন কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তুহিন ইজারাদার ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার সাথে সমঝোতা করে হাট বাজার নিয়ন্ত্রণে নেন। আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করে হাট বাজার দখলের জন্য আমাকেও প্রস্তাব দেওয়া হয় । আমি এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করি। এতে তারা (তুহিন ও আজম) আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন,‘ আওয়ামী লীগ ১৭ বছর বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। সেই আওয়ামী লীগের সমঝোতা করে বিএনপি হাটবাজারের খাজনা আদায় করতে পারেন না। হাটের মূল ইজারাদার মনির মোল্লা। তার প্রতিনিধি হিসেবে তুহিন ও আজম হাট-বাজার পরিচালনা করে আসছে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আমার ওপর একাধিকবার হামলা চালায়। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট করে। আমার মোটরসাইকেল লুট করে নিয়ে যায়। তারপরেও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিলাম। কিন্তু যারা তখন ঢাকা চাকরি করেছেন তারা এখন টাকার বিনিময় পদ-পদবী নিয়ে বিএনপি দাবি করছেন। আমিসহ ত্যাগী বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।

যারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতা করে হাট বাজার দখল ও ত্যাগী বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠিনক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেন গাজী গিয়াস উদ্দিন।

ওই সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য নুর হোসেন খান, কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য মো. শাহজাহান মাতব্বর এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফুর রহমান রিফাতসহ শতাধিক বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মী।

 

151 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন